মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
রাউজান থেকে অপহরণের শিকার কলেজছাত্র শিবলী সাদিক। দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও অপহৃত কলেজছাত্রকে ফিরে পায়নি পরিবার।
অপহৃত শিবলী সাদিক (১৯) কদলপুর ইউনিয়নেয় ৯নং ওয়ার্ডের রওশন আলী বাড়ির পিক-আপ ড্রাইভার শফির ছেলে, জানা যায় অপহরণের দুই দিন পর অপহরণকারীরা মায়ের মুঠোফোনে ফোন করে কথা বলিয়ে দেয় কলেজছাত্র শিবলী সাদিকের (১৯)। অপহরণের পর তখন ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরে সাড়া না পেয়ে গত ৩১ আগস্ট আবার ফোন করে দুই লাখ টাকা চায়।
পরদিন( ১) সেপ্টেম্বর শিবলীর বাবা দুই লাখ টাকা নিয়ে বান্দরবান জেলা সদরের পূর্বনির্ধারিত জায়গায় গিয়ে দুজন লোকের হাতে টাকা তুলে দেন। তাঁদের বলা হয় ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে চলে যাবে। আজ বৃহস্পতিবার ১১ দিন পরও শিবলীর কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার।
গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পঞ্চপাড়ার মুরগি খামার থেকে অপহরণ করা হয় শিবলী সাদিককে। তিনি কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা মুহাম্মদ শফি পরিবহন ব্যবসায়ী। ঘটনার পরদিন অপহরণ মামলা করতে চাইলেও রাউজান থানা-পুলিশ সাধারণ নিখোঁজ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে বলে অভিযোগ শিবলীর পরিবারের। পরে গত বুধবার রাতে ১০ দিন পর অপহরণের মামলা রেকর্ড করা হয়।
পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে রাউজান থানায় মামলা করেন শিবলীর মা নাহিদা আকতার। শিবলীর চাচা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে চায়নি। তখন আমরা জিডি করেছি। এখনো শিবলীর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন।
দেরিতে মামলা নেওয়া প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকী আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর করেছে পুলিশ। ঘটনাটি অপহরণ, এটা নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে কলেজছাত্রকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।