মোঃ লিটন মাহমুদ ,মুন্সীগঞ্জঃ
২ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি সর্বশেষ মেরামত করা হয়েছিল সালে। এখন ইটের সলিং উঠে খানাখন্দে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৪টি গ্রামের প্রায়ই ৩থেকে ৪ হাজার মানুষ। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রামশিং এর খান সড়কের দশা এটি।
সরেজমিনে আজ ১০ই নভেন্বর বুধবার দেখা যায়, জয়নগর থেকে ভেবলা গ্রাম পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তায় ইটের সলিং উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এখন আর রাস্তার কোথাও ইট নেই। অনেক স্থান থেকে ইট চুরি হয়ে গেছে। আবার কোথাও হয়েছে বড় বড় গর্ত।
রামশিং এর খান বাড়ীর মসজিদ হতে মালপাড়া সড়কে সংযোগের উদ্দেশ্য নির্মাণ হলেও ৩৪বছরে ও সংযোগ হয়নি ।এবং বলরামপুর গ্রামের ওপর দিয়ে যাওয়া রাস্তাটির পূর্ব পাশ ভেঙে ইট সরে গেছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে,বজ্রযোগিনী ইউনিয়রে প্রথম চেয়ারম্যান মোঃ ওহেদুল তালুকদার সময় দীর্ঘ ৪০ বছর আগে রাস্তাটির প্রথম মেরামতের কাজ করা হয় এবং ২৫ বছর আগে সাবেক চেয়ারম্যান তোতা মুন্সীর সময়
২য় বারে মত রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হয় ।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই রাস্তাটি দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়ত করে থাকেন ।
বজ্রযোগিনীর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তানিয়া বেগম বলেন, ‘রাস্তাটি এমন অবস্হা সরকারি কোনো লোকজন ভাঙা রাস্তাটি দেখতেও আসেনি। হাঁটা ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। এতে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
রামশিং খাঁন বাড়ী গ্রামের মোঃআব্দুস সামাদ খাঁন বলেন, ‘রাস্তা ভেঙে এমন অবস্থা হইছে, মানুষই চলতে পারে না, গাড়ি চলবে কেমনে? রাস্তার কোথাও ইট নাই আবার কোথাও বড় বড় গর্ত।
মিস ঝুমা বেগম বলেন,শিশুরা বর্ষাকালে বিদ্যালয়ে যেতে পারেনা, লোকজন বাজারে যেতে পারেনা। সন্ধার পরে কেউ জরুরি প্রয়োজনেও বের হতে চায়না কারণ বহুদূর ঘুরে অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে বাজারে বা ডাক্তারের নিকট যেতে হয়।
এই সম্পর্কে বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ আমাদের কে বলেন ,এই রাস্তাটি কাজ হয়ে যাবে , রাস্তাটির প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে এবং আইডি নান্বার ও পরে গেছে ।