মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল অন্তগর্ত সিপাইপাড়ায় ব্যাস্ত তম রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপকে দূর থেকে দেখলে ময়লা-আবর্জনার বিশাল পাহাড় বলে মনে হয়। রাস্তার পাশের এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধে চরম বিপাকে পথচারীসহ এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নাকে কাপড় ছাড়া কিংবা নিশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একেবারে অসম্ভ , সেখান থেকে প্রতিনিয়ত যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে দূষিত হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীরা নাক ঢেকে চলাচল করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এই রাস্তা টি মুক্তারপুর মাওয়া যাওয়ার গুরুত্বপূর্ন রাস্তা , জানা যায় গত ২/৩ বছর ধরে রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলে থাকে। একই স্থানের পাশে নালা গুলোতেও সব সময় আবর্জনায় ভরে থাকে, যা থেকে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে। এই নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বর্জ্য ফেলার ওই স্থানের একপাশে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, বিভিন্ন দোকান পাটও। দুর্গন্ধের কারণে এ ব্যাস্ত তম সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।
এখানে ময়লা ফেলায় পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। কারও পক্ষে নিশ্বাস নিয়ে এ রাস্তা পার হওয়া সম্ভব নয়। আমরা নাক বন্ধ করেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করি।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পাশে অবস্থিত কাঃক মসজিদ বাড়ী সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়রে নামপ্রকাশে অনুচ্ছুক শিক্ষক বলেন, স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সময় নাকে হাত দিয়ে এই স্থান পার করতে হয়। এতে স্কুল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ লোকজনের পাশাপাশি অসুস্থ রোগী এই এলাকা পার হতে গেলে অনেক সময় বমি করে ফেলে। তিনি আরো বলেন, রাস্তার পাশে খোলা স্থানে ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য এই এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মোঃ ইয়াকুব আলী ( ৬০) বলেন, আমাকে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় বলেই বলছি না, সিপাইপাড়া এলাকায় এর চাইতে আর নোংরা ও দুর্গন্ধ যুক্ত যায়গা আর কোথাও নেই।
তিনি আরও বলেন, এলাকা থেকে দূরে কোনো নির্জন স্থানে এই ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করা উচিত।
স্থানীয় রামপাল ইউনিয়নের ৭ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আঃকরিম বলেন , রাস্তার পাশের ময়লা আবর্জনার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন,
কয়েক দফায় সিপাইপাড়া বাজার কমিটির লোক জন কে এই ময়লা পরিস্কার করার তাগিদ দিলেও কোন লাভ হচ্ছে না ।
এ সন্পর্কে রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বাচ্চু শেখ বলেন ,এখানে সিপাইপাড়ায় ঘড়ে উঠা ফুলের দোকান ও বয়লার মুগির দোকানের সমস্ত ময়লা এখানে ফালাচ্ছে প্রতিনিয়ত । আমি বহুর বার ইউনিয়ন পরিষদ পক্ষ থেকে এই জায়গায় ময়লা ফালানোর বিরুদ্বে ব্যবস্হা গ্রহন কিরেছি বহু বার । কিন্তুু আমি এখন কতক্ষন বলবো ।এখন একটি মোবাইল কোটের মাধ্যমে তাহাদের যদি জরিমানা বা শাস্তির ব্যবস্হা করা যায় তাহলে এই গুরুত্বপূর্ন সড়কটি পার্শ্বে ময়লা ফেলা কিছুটা হলেও বন্দ হবে বলে আমি বিস্বাস করি । সর্বপুরি তিনি সাংবাদিকদের সহয়তা কমনা করেন ।