মুন্নি আক্তার,নিজস্ব প্রতিবেদক :
মীরসরাইয়ে মেলখুম ঝর্ণায় বেড়াতে গিয়ে গহীন পাহাড়ে পথ হারানো চার কলেজছাত্রকে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর উদ্ধার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) কলের ভিত্তিতে পথহারা ওই চার পর্যটককে গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা থেকে খবর পায় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। এতে জানানো হয়, জোরারগঞ্জ থানাধীন সোনাপাহাড় এলাকায় মেলকুম ঝর্ণায় বেড়াতে গিয়ে চার কলেজছাত্র পথ হারিয়ে গহীন অরণ্যে চলে যায়। এসময় তারা বনের ভেতর অজ্ঞাত টিলায় অবস্থান করে। যেখানে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। সেখান থেকে তারা জাতীয় জরুরি নম্বরে ফোন দেয়। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হাসানের নেত্বত্বে সেকেন্ড অফিসার এসআই আল মাহমুদ শরীফ ও এসআই মামুনুর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় প্রায় ৫–৬ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে তাদেরকে রাতে গহীন অরণ্য থেকে মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাদের খাবার পানি ও খাবার দিয়ে স্বাভাবিক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হল– কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র আদনান সামী (২০)। একই এলাকার ও একই কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মোতাহের হোসেন (২৪), ঢাকা কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ইফতেখার হোসেন (২৪) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ মহসিন হোসেন (২৪)।
উদ্ধার হওয়া পর্যটক মোতাহের হোসেন জানান, তারা সবাই বন্ধু। ইউটিউবে এই ঝর্ণার খবর দেখে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এখানে ঘুরতে আসে। ঝর্ণায় যাওয়ার সময় স্থানীয় কারো সহায়তা না নেয়ায় পথ–ঘাট চিনতে কষ্ট হয়েছে। ফলে পথ ভুলে তারা একটি পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্কও পাওয়া যাচ্ছিলো না। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯) ফোন করলে পরে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হাসান বলেন, পর্যটক উদ্ধারের সহায়তার কথা শুনে থানা থেকে ফোর্স পাঠিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিজ জিম্মায় তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।