আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট)
মোংলায় নানা আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ (বাংলা নববর্ষ-১৪৩০) উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় মোংলা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দীপংকর দাস’র নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু করে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ আবার করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নানা রঙের ফেস্টুন, ঘোড়া, পেঁচা, দোয়েলসহ বর্ণিল সাজ ছিলো নজরকাড়া।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নির্বাহি কর্মকর্তা দীপংকর দাস বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। এর সাথে বাঙালি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত। বাঙালির চিরায়ত এই উৎসবটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উদযাপিত হয়। বাংলা নববর্ষের কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসিত। যা ইতোমধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। উৎসবমুখরভাবে দিনটি পালন করা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক।
তিনি আরও বলেন, বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত করে। সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপদানে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালে বাংলাদেশ যে মধ্যম আয়ের দেশের স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়িত হবে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।
এর আগে উপজেলা চত্বরে জাতীয় সংগীত গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দীপংকর দাস। শোভাযাত্রা শেষে তিনি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বৈশাখী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
শোভাযাত্রায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আইসিটি অফিসার সৌমিত্র বিশ্বাস, মোংলা থানা পুলিশ, মোংলা ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বিভিন্ন স্কুল-কলেজ শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। এছাড়াও বাইরের প্রচুর সংখ্যক মানুষ সপরিবারে উপজেলা আসেন নববর্ষ উদযাপনে।
আলী আজীম, মোংলা
০১৯২৫২৯৬৮২২