এম, টি, রহমান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন ঢাকা খুলনা জাতীয় মহাসড়কের মোল্লারহাটে অবস্থিত ‘আবুল খায়ের সেতু’ টোল ইজারা প্রদানে কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৭ জুন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ দায়ের করে কয়েকজন ঠিকাদার। টু স্টার ট্রেডিং প্রোপাইটর এ কে আজান খান, মনির ট্রেডার্সের মনির খান, মাহি ট্রেডার্সের শফিকুল আলম, খান এন্টাপ্রাইজের জুয়েল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান ও ফয়সাল কবির কদর এ অভিযোগ করে। গোপনে একক সিডিউল বিক্রী করে একজন ঠিকাদার ইজারায় অংশগ্রহন করায় এ অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রচারিত ইজারা কোটেশনে ২০২৪-২০২৫ হতে ২০২৬-২০২৭ অর্থ বছরে অর্থাৎ ০১ জুলাই ২০২৪ হতে ৩০ জুন ২০২৭ মেয়াদে মোট ৩ বছরের মোল্লাহাট অবস্থিত ‘আবুল খায়ের সেতু’ এর উপর দিয়ে পারাপারকারী বিভিন্ন প্রকার যানবাহন হতে টোল আদয়ের ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে দরপত্র আহবান করে। ইজেরা কোটেশন বিজ্ঞপ্তি বৈধ নিয়মে ৫ থেকে ৮ বার টেন্ডার করার নিয়ম থাকলেও অবৈধ ভাবে ৪ বার টেন্ডার প্রধান করে সরকারের বড় ধরনের সরকারী রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। অনৈতিক ভাবে অর্ধকোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য করে পরস্পরের যোগসাজশে উপরোক্ত কোটেশন ভুক্ত ‘আবুল খায়ের সেতু’র ইজারা নিউ ইমা ব্রিকস্ এর ঠিকাদার শাহীনুল আলম ছানাকে ইজারা দেওয়া প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। এই সানা মিয়া আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘ দিন একাই টোল আদায় করছে। সড়ক ও জনপথ গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রকিউরমেন্ট এন.টি.টি (পি.ই) কমিটির নির্বাহী প্রকৌশলী এবং অফিস স্টাফগন উক্ত দরপত্র চাপাইয়া রাখিয়া পরবর্তীতে পি.পি.আর রুলস ও নিয়মনীতি না মেনে অবৈধ ও অনৈতিক ভাবে লাভবান হয়ে ‘আবুল খায়ের সেতু’র ইজারা নিউ ইমা ব্রিকস্কে প্রদান করতেছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করে, শাহীনুল আলম ছানা দীর্ঘদিন যাবত উক্ত আবুল খায়ের সেতুর ইজারা আদায়ের নামে যানবাহনের নিকট হতে সরকারী ইজারার মূল্য তালিকা হতে বেশী ভাড়া আদায় করছে। ইতোপূর্বে সে একই ভাবে আবুল খায়ের সেতুর ইজারা গ্রহন করেছে। এই অবৈধ ইজারা বন্ধ করে নতুন করে আহবান করে সকল ঠিকাদারকে অংশ গ্রহনে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে এ সকল ঠিকাদার।
এ ব্যপারে নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ গোপালগঞ্জ মোঃ আজহারুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবুল খায়ের সেতু ইজারা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সম্পূর্ন নিয়ম মাফিক ভাবে হয়েছে। ইজারা পেতে ইচ্ছুক ঠিকাদারদের অভিযোগ কাউকে না জানিয়ে গোপণ করে একজনের নামে টেন্ডার জমা করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যপারটা সঠিক নয়, এখন এ ব্যপারে আমাদের কিছু করার নাই। ফাইলটি চিফ স্যারের বরাবর আছে তারা যা করবে তাই হবে।
ব্যপারটি আরএইসডি চিফ ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মইনুল হাসান এর ০১৭৩০৭৬২৫০০ নাম্বারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (চ.দা) সহজ সড়ক বিভাগ গোপালগঞ্জ, মোল্লারহাট, বাগের হাটের ইজারার কাগজাদি সম্পূর্ন প্রস্তুত করে আমাদের নিকট পাঠিয়েছে, এখানে আমাদের কি করার আছে..? এলাকার জনগণ ও ভুক্তভোগী জানান এত বড়, বড় ব্রীজ পার হই টোল দেওয়া লাগেনা এই ছোট ব্রীজের টোল একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে জনগণকে জিম্মি ও সরকারকে ফাঁকি দিয়ে একজনের নামে অল্প টাকায় টোল দিয়ে অবৈধ ভাবে কাজ করছে। এর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছেন বিভিন্ন ঠিকাদার ও জনগণ! গোপালগঞ্জ ও মোল্লার হাটের টোল তুলে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবী জানান।