ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় আরও কয়েক মাসব্যাপী তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত গাজায় তাদের অভিযান থামবে না। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট যুদ্ধের পর গাজার প্রশাসনিক ব্যবস্থা কেমন হবে- সেই পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, সহিংসতা বন্ধের পর ফিলিস্তিনের এ ভূখণ্ডের ইসরায়েল বা হামাস কেউ শাসন করবে না।
তিনি বলেছেন, গাজার বাসিন্দারা ফিলিস্তিনি তাই একটি কাঠামো নেতৃত্বের দায়িত্বে তারা থাকবে। তারা এই শর্তে সেখানে কর্তৃত্বে থাকবে যে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো শত্রুতাপূর্ণ বা হুমকিস্বরুপ পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যালান্টের বর্তমান “চতুর্মুখী” পরিকল্পনার আওতায় গাজার সার্বিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে থাকবে। তবে গাজার “ভবিষ্যত” নিয়ে এই আলোচনায় নিয়ে ইসরায়েলের মধ্যে গভীর মতভেদ দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের কিছু কট্টর ডানপন্থী সদস্য বলেছে, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের গাজা ছেড়ে নির্বাসনে চলে যেতে বলা উচিত। আর ওই এলাকায় ইহুদি বসতি আবার গড়ে তোলা উচিত।
যদিও গ্যালান্টের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তার অন্য সহকর্মীদের আনা প্রস্তাবের তুলনায় বেশি বাস্তবসম্পন্ন বলে মনে করা হচ্ছে, তারপরও হয়তো এই প্রস্তাব বাতিল করে দেবেন ফিলিস্তিনি নেতারা।
তারা বলছেন, এই বিধ্বংসী যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ওই এলাকা পরিচালনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গাজাবাসীর থাকা উচিত। নেতানিয়াহু অবশ্য গাজা কিভাবে শাসন করা হবে তা নিয়ে জনসমক্ষে এখনো কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।