সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাক) এর মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি হাসেম  জুলাই বিপ্লবের অন্যতম কারিগর জাজাকাল্লাহ সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সম্পাদকের সৌজন্য সাক্ষাৎ  মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে  বনভোজন  অনুষ্ঠিত । ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সহকারীদের মানববন্ধন  মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চরকেওয়ারে‎ শ্রীনগর থানা পরিদর্শনে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন সাইদুর রহমান ফকির । মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দুই নেতাকে জড়িয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা সিরাজদিখানে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা, টাকা-স্বর্ন লুট, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রাজগঞ্জের মেঠো পথে ফুটেছে চোখজুড়ানো ভাঁটি ফুল

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
  • ১৬৪ বার পঠিত

উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর থেকেঃ

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের মেঠো পথের সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে চোখজুড়ানো ভাঁটি ফুল। রাস্তার ধারে অযত্নে, অনাদরে ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার চিরপরিচিত গুল্মজাতীয় বুনো উদ্ভিদ ভাঁটি। অঞ্চলভেদে রাজগঞ্জে এই ফুলকে বলা হয় ভাঁটি ফুল। রাজগঞ্জের রাস্তার দুপাশে আঁকাবাঁকা গ্রামীণ পথে, আনাচে-কানাচে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা, ফোটা সাদা ভাঁটি ফুল দেখলে চোখজুড়িয়ে যায়। রাজগঞ্জের গ্রামীণ রাস্তা ও প্রধান সড়কের দুই পাশে ভাঁটি ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে। এছাড়া রাজগঞ্জের বিভিন্ন বাগানগুলোতে ভাঁটি ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। চলাচলকারী লোকজন কিংবা বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরাও তা দেখে মুগ্ধ হন। বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঁটি ফুল ফোটে। এই ফুল ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে দেখা যায়। বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে ভাঁটি ফুলের গাছ চোখে পড়ে। এর বৈজ্ঞানিক নাম, ক্লেরোডেনড্রাম ভিসকোসাম। ইংরেজি নাম হিল গেন্টারি বোয়ার ফ্লাওয়ার। জানা গেছে, ভাঁটি ফুলের আদি নিবাস ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অঞ্চলে। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই প্রজাতির ফুল। কিছু কিছু লোকজন বিষ প্রয়োগ করে এই ফুল ধ্বংশ করে দিচ্ছে। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে একটু খুঁজলে সন্ধান মিলবে ভাঁটির। এখন রাজগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তার ধারে, বান্দালের উপর ভাঁটি ফুল দেখা যায়। ভাঁটি ফুলের ঘ্রাণও ভীষণ মিষ্টি। সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় ভাঁটি ফুলের গাছ। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ রয়েছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত এ ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এই ফুল। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁটি ফুলের মধু সংগ্রহ করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঁটি ফুল গুল্মজাতীয় দেশি বুনো পুষ্পক উদ্ভিদ। এ গাছের ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাঁটি শুধু সৌন্দর্য গুণেই নয়, মানবদেহের জন্য এই গাছের অনেক ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে। বিশেষ করে চর্ম রোগীরা ভাঁটি ফুলের রস দিনে দুইবার ক্ষত স্থানে মালিশ করলে যেকোনো চর্ম রোগ দ্রুত সেরে যায়। অনেক সময় বিষাক্ত পোকামাকড় কামড় দিলে এই ভাঁটি ফুলের রস করে ক্ষত স্থানে মালিশ করলে ফোলা ও ব্যথা দ্রুত কমে যায়। ভাঁটির পাতার রস কৃমি প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।