উত্তম চক্রবর্তী,মনিরামপুরঃ
প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। শুষ্কতায় বাতাসে বাড়ছে দূষণ, ধূলিকণা। কমছে আর্দ্রতা। আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানবজীবনে। দেখা দিচ্ছে জ্বর, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। স্থানীয় চিকিৎসকদের চেম্বারে শিশু ও বয়স্ক রোগী বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ও বাজারের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের চেম্বারে দেখা যায়- ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত, গ্যাসের সমস্যার রোগীই বেশি। সরেজমিনে রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় দেখা গেছে- ঠান্ডা জ্বরে, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও গ্যাসে আক্রান্ত অনেক রোগী ওষুধ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে দায়িত্বরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দিলরুবা ইয়াসমিন রোগীদের সমস্যা শুনে ও দেখে নিয়মিত ওষুধ দিচ্ছেন। এদিকে রাজগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজায় তালা ঝুঁলানো দেখে গেছে। সেখানে ওষুধ নিতে আসা অনেক নারী-পুরুষ রোগী, চেম্বার খোলা না থাকায় ফিরে যাচ্ছে। আবার অনেকেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যেয়ে ওষুধ নিচ্ছেন। ঝাঁপা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দিলরুবা ইয়াসমিন জানান- এখানে ওষুধ নিতে আসা প্রায়ই সব রোগীই ঠান্ডাজনিত, জ্বর ও গ্যাসের সমস্যায় আক্রান্ত। প্রতিদিন প্রায়ই ৫০জন রোগীর সেবা ও ওষুধ দিতে হচ্ছে। তিনি জানান- শীত মৌসুম আসার ফলে নতুন ঋতুতে এ সমস্য দেখা দিচ্ছে। এতে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রন্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় একজন পল্লী চিকিৎক বলেন- শীত মৌসুম এলে মানুষের নানা ধরনের ঠান্ডাজনিত রোগ হয়। এর মধ্যে বয়স্ক, শিশু ও দীর্ঘদিন রোগে ভোগা মানুষ বেশি অসুখে ভোগে। এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ আছে তাদের শীতকালে সমস্যা বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন- শীত মৌসুমে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে অক্সিজেন শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়। আর এ বাতাসের সঙ্গে রোগ-জীবাণু, ধুলাবালি ঢুকে শ্বাসনালীর সংক্রমণ করে। বিশেষ করে এ সমস্যাগুলো শীতকালে বেশি হওয়ার কারণ তখন ফুসফুসের শ্বাসনালীতে আর্দ্রতা কমে যায়। এতে ফুসফুসে ইনফেকশন, নিউমোনিয়া, ব্রংকিউলাইটিস, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের রোগ বাড়ে। এসময় শ্বাসজনিত রোগ-বালাই থেকে বাঁচতে বেশি পানি পান করার পরামর্শ দেন এ বিশেষজ্ঞ। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। শরীরের রোগ-জীবাণু বের হয়ে যাবে। এদিকে রাজগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট হিরাশীষ মজুমদার নিয়মিত অফিস করেন না, এমন অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে তিনি বলেন- আমাকে বিভিন্ন সময়, উপজেলা সদরে ও বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হয়। এ কারণে সমস্যা হতে পারে।