জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আসমা আক্তার নামে এক নারী সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে পৌর শহরের মৌলভীবাজার এলাকার আমির হোসেন ডিপজলের বাসার পাঁচতলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এই নারী সাংবাদিক আসমার মরদে উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আগে আসমা নিজের ফেসবুক আইডিতে (Asma Akter) মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামী বেলায়েত হোসেন বাচ্চুকে দায়ি করে একটি স্ট্যাটাস দেন- ‘আজকে যদি আমি মারা যাই এর সম্পূর্ণ দোষ বেলায়ত হোসেন বাচ্চুর। সে আমাকে প্রলোভনে ফাঁসিয়েছে। বেলায়েত হোসেন বাচ্চু তুমি এপারেও শান্তি পাবে না,ওপারেও শান্তি পাবে না।আল্লাহ হাফেজ।’
লেখাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ২ ঘণ্টা পর পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারা ভাড়া বাসার খোলা দরজা দিয়ে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
বেলায়েত হোসেন বাচ্চুর ছোট ভাই জাকির হোসেন বলেন, ‘তার ভাই মাত্র দেড় মাস ধরে এ বাসায় ভাড়া থাকেন। তার পাঁচ বছর বয়সী তুতুল নামের এক ছেলে রয়েছে। আমার মা বাড়িতে অসুস্থ, তবু আমার ভাই কখনো একটুও খবর নেয়নি।’
একই বাসার ভাড়াটিয়ারা জানান, গত মাস দেড়েক আগে বেলায়েত হোসেন বাচ্চু স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এ বাসায় বসবাস করে আসছেন। আসার পর থেকেই প্রতিদিন এ পরিবারে ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। প্রায়ই মারধরসহ কান্নাকাটির আওয়াজ এলে ভাড়াটিয়ারা ভবন মালিককে জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে বেলায়েত হোসেন বাচ্চু দরবেশপুর ইউনিয়নের শোশালিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। সে ঘরে স্ত্রী নাজমা আক্তার ও তিন সন্তান রয়েছে। বছর দেড়েক আগে বেলায়েত হোসেন বাচ্চু খুলনার এক নারীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হলে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র দে জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় আসমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।