জয়ন্ত সাহা যতন, স্টাফ রিপোর্টারঃ আলোচিত সমালোচিত আসন হিসেবে পরিচিত ২৯গাইবান্ধা-১সুন্দরগঞ্জ আসন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিলেও এবার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে নিজেদের প্রার্থী চায় ক্ষমতাসীন দল সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গত নির্বাচনের চেয়ে এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান এবং নেতাকর্মীরাও একাট্টা। আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে সরব একাধিক প্রার্থী। তারা জানিয়েছেন, সবাই নৌকার দাবিদার হলেও তাদের মধ্যে বিভেদ নেই। সব পক্ষের কর্মীদের অভিন্ন চাওয়া আর সেটি হলো নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। তারা জানান, আসনটিতে লাঙল নয়, নৌকার প্রার্থী চায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ।আর আসনটিতে নৌকার জয় নিশ্চিত করতে তৃণমূলে জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি ওঠেছে।
দলটির নেতা-কর্মীদের এমন প্রত্যাশায় সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাটি মানুষের নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু। দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পরামর্শ, এবারের সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নতুন ও তরুণ ভোটারের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন পরিশ্রমী রাজনীতিক আশরাফুল আলম সরকার। নিজের কর্মগুণে ইতোমধ্যেই তিনি তরুণ ভোটারদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত ভোটারদের দূয়ারে দূয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। উন্নয়নের গতিধারা অক্ষুন্ন রাখতে এবং শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকায় ভোট চেয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেওয়া হলে বদলে যেতে পারে ২৯গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের ভোটের হিসাব-নিকাশ। আশরাফুল আলম সরকার লেবু বেলকা ইউনিয়নের, বেলকা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৭ সালের ১ লা জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত আবুল হোসেন ও মাতা আয়শা খাতুনের ৭ সন্তানের মধ্যে ৫ ছেলে- মেয়ে চাকুরীজীবি এবং ২ পুত্র আনিছুর রহমান ও আশরাফুল আলম সরকার লেবু ব্যবসার সাথে জড়িত।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি হাতে খড়ি আশরাফুল আলম সরকার লেবুর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, ছাত্র জীবনে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পরে যুবলীগ এবং ২০০১ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভ করেন।পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০১৮ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৯ সালে বিপুল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সদস্য গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯ গাইবান্ধা -১ সুন্দরগঞ্জ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকার কান্ডারী হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে চান আশরাফুল আলম সরকার লেবু।মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফুল আলম সরকার লেবু উপজেলাবাসীকে বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্যে বলেছিলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা একটি দৃষ্টি নন্দন মডেল উপজেলায় রুপান্তর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় আমি নির্বাচিত হলে, রাস্তা- ঘাট,হাট- বাজার,ব্রীজ, কালভার্ট, স্টেডিয়াম ও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ল্যাবের ব্যবস্থা,মসজিদ,মন্দির, স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসাসহ সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন,গৃহহীন, ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা, প্রমত্তা তিস্তা নদী শাসন ও খনন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবো।তিনি আরও বলেন,সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ,জুয়া ও মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে নিরাপদ জনপদ হিসাবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলাকে পরিচিতি ঘটাতে চাই। উত্তর অঞ্চলের পশ্চাৎপদ জনপদ খ্যাত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বাসীর সুখে – দুঃখে পাশে থেকে কাজ করতে চাই।আশরাফুল আলম সরকার লেবু সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় বলে দাবী এলাকাবাসী ও সমর্থকদের।সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তৃনমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও এলাকাবাসীর দাবী আশরাফুল আলম সরকার লেবুকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে দেখতে চান। তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাবাসী তাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবেন।
তারা মনে করেন- নিজগুণে যদি জিততে হয় তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সদস্য গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সরকার লেবু এই আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার বিকল্প নেই । কারণ আশরাফুল আলম সরকার লেবু স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজেকে টেনে নিয়ে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।সুন্দরগঞ্জের সাবির্ক উন্নয়নও হচ্ছে তার হাতধরেই। তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীর অধিক আগ্রহের কারণ- আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে আশরাফুল আলম সরকার লেবুকে নৌকা প্রতীক দিলে বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন।আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ছাপরাহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃকাওছার আলী সরকার ও যুবলীগের নেতা আলহাজ্ব মোঃ খায়রুল হাসান বাবু ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের প্রবীন ও নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, মানবতার আরেক নাম আশরাফুল আলম সরকার লেবু। সেকারণে এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে আশরাফুল আলম সরকার লেবুকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। এ উপজেলার উঠতি ভোটারদের মতে আশরাফুল আলম সরকার লেবু সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হবার পর স্থানীয় রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে আশরাফুল আলম সরকার লেবুর বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
১ নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, আশরাফুল আলম সরকার লেবু একজন পরিপুর্ণ রাজনীতিবিদ। তরুণ এই রাজনৈতিক নেতা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই রাজনীতির পেছনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনগণ ও অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষরা তাকে সবসময়েই কাছে পায়। এজন্যই সুন্দরগঞ্জবাসী তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি আরো বলেন, একজন যোগ্যনেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্ছার ভুমিকা রেখে আসছেন। যে কারণে সারা সুন্দরগঞ্জ জুড়ে আশরাফুল আলম সরকার লেবুর রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এলাকাবাসী তাদের যেকোন ধরনের চাহিদার সময় আশরাফুল আলম সরকার লেবুকে কাছে পায়।
রামজীবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাদেকুল ইসলাম রনজু বলেন, আশরাফুল আলম সরকার লেবু হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়, কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান। এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।