মুন্নি আক্তার, স্টাফ রিপোর্টার :
লোহাগাড়ায় পৃথক ঘটনায় আগুনে পুড়েছে বসতঘর ও দোকান।
আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আমিরাবাদ ও চুনতি ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাগুলো ঘটে। স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, আমিরাবাদে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের তেওয়ারীখিল মিয়ার বাপের বাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে মৃত বাঁচা মিয়ার পুত্র বদিউল আলমের বসতঘর ও অগ্নিকাণ্ডে চুনতি বাজারে এ. প্লাজায় সোহেল কুলিং কর্নায় পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বদিউল আলম জানান, ভোররাত ৩টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ঢেলে তার বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৭টার দিকে সোহেল কুলিং কর্নারে চা তৈরি করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে দোকানের অনেক মালামাল পুড়ে যায়। তবে, দোকানটি কুলিং কর্নার হলেও অবৈধভাবে বিক্রি করা হতো গ্যাস সিলিন্ডার, ডিজেল ও অকটেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা এস এম হুমায়ুন কার্ণায়েন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ঘন্টব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। কুলিং কর্নারের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত। দোকানটি কুলিং কর্নার হলেও বেআইনিভাবে বিক্রি করা হতো গ্যাস সিলিন্ডার, ডিজেল ও অকটেন। এ ঘটনায় কুলিং কর্নারে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, “বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি অবগত হয়েছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”