সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাহেন্দ্র – বাস সংঘর্ষে বোয়ালখালী যুবক নিহত চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক রাজগঞ্জ বিএনপি অফিসে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপি-জামাতের মধ্যে সংঘর্ষ\ আহত-১০ দলের জন‍্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন ঝাঁপা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম‍্যান মফিজুর রহমান ২৪ এর শহীদ এর স্বরণে নাঙ্গলমোড়া আন্ত: গোন্ডকাপ ফুটবল টুণামেন্টে’র বর্ণাট্য ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিআইপি মনোনীত মুহাম্মদ জুলফিকার ওসমানকে সংবর্ধনা, দুই অসহায় পরিবারের পাশে ইসলামী নবজাগরণ সংগঠন গাজীপুরে ফ্রেন্ডস ক্লাব ৯৬, গাজীপুর এর ৫ম বর্ষপূর্তি ও ফ্যামিলি উৎসব অনুষ্ঠিত সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সাদপন্থীদের কোন কার্যক্রম বাংলাদেশে চলতে দেওয়া হবে না সালথায় গণঅধিকার পরিষদের শীতবস্ত্র বিতরণ

শরীফ-শরীফা, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমকালীন রাজনীতি

জসীমউদ্দীন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৪৬ বার পঠিত

জসীম উদ্দীন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিক অবস্থা সম্পর্কে সবাই অবগত। কারণ, এ দেশের প্রায় সব মানুষই কোনো না কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস। তবে সেটা কতটুকু সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা তথা রাষ্ট্রের কল্যাণে, তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। বর্তমান রাজনীতি হয়ে গেছে পরিবার, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে। কতটুকু দেশপ্রেমের দায়বদ্ধতা থেকে, তা অনুধাবন করার তত কঠিন নয়। রাজনীতিতে মতাদর্শগত কেউ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস। তবে তারা প্রায় সবাই ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী।
অপর দিকে রাজনীতিতে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের মধ্যে অনেক বিভক্তি পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। তারপর হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের পরিমাণ গোনার বাইরে। বাংলাদেশের মানুষ এত বেশি রাজনৈতিক সচেতন, যা কল্পনার অতীত। কিন্তু কোনো এক জায়গায় তাদের যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশের মানুষ কী কারণে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) পক্ষ অবলম্বন করে একটা সুন্দর স্বাধীন রাষ্ট্রে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তা দস্তুরমতো গবেষণার ব্যাপার। যেখানে প্রয়োজন ছিল শতভাগ স্থিতিশীলতা, সেখানে জাতিটাকে জন্মের পরেই অস্থিতিশীল করে ফেলা হয়েছে। একটি শিশু জন্মের পর মা ও শিশুর প্রয়োজন সর্বোচ্চ পরিচর্যা। কিন্তু আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শিশুরাষ্ট্র এবং তার স্থপতিকে সামান্য একটু সময় দেওয়া হয়নি। আর এই না দেওয়া পেছনে পাকিস্তানি ভাবাদর্শ এবং তাদের সমর্থক গোষ্ঠী আর জাসদ একাকার হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি জাসদকে বিপজ্জনকভাবে ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়। যদিও তৎকালীন যারা জাসদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা খুব অল্প বয়সী ছিলেন। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তথা রাষ্ট্রের স্বার্থে রাজনীতিক নেতৃত্ব পরিচালনার দূরদর্শিতা ছিল না। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য শিশুরাষ্ট্রকে যেভাবে পরিচর্যা করা দরকার, তারা সেটা না করে শিশুরাষ্ট্র এবং এর স্থপতিকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেছে।
এখন আসি অন্য প্রসঙ্গে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক শরীফ ও শরীফার প্রসঙ্গে পাঠ্যপুস্তকের পাতা ছিঁড়ে যে প্রতিবাদ করেছেন, তা কতটুকু দৃষ্টিকটু। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক দেওয়ার মানুষের অভাব নেই। ওই শিক্ষকের পক্ষ অবলম্বনকরীরা একধরনের চিন্তা করছেন, আর যারা এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি, তারা অন্যভাবে দেখছে।
একটি ব্যাপার পরিষ্কার, স্বাধীনতার পূর্বে এবং পর একটা গোষ্ঠী বর্তমান শাসক দলকে ইসলাম বিদ্বেষ এবং ভারতের দালাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রনান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যে কাজটি করেছেন, তা কতটুকু ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং দেশবাসীর কল্যাণে করেছেন, তা সচেতন মানুষ বলতে পারবেন। কিন্তু একটি ব্যাপার পরিষ্কার, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই কাজটি করেছেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সামান্য সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এসব সামাজিক কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি দুই-একজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সাম্প্রদায়িক মানসিকতা এবং বর্তমান সরকার বিদ্বেষী ভয়ংকর মানসিকতা লালন করেন।
দেশে কখনো কখনো ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা দেখা যায়, তা সামান্য ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সাম্প্রদায়িক কারণে। ছাত্রদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে জাতীয় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন, রাজনৈতিক দলগুলো পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কারণে তা বন্ধ করে দিয়েছে। সুষ্ঠু ধরার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের প্রভাব দৃশ্যমান। প্রয়োজন, বাংলাদেশের প্রতিটি কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। গণতান্ত্রিকভাবে দেশে কলেজ-ইউনিভার্সিটিগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে প্রতিবছর জাতীয় নেতৃত্ব বেরিয়ে আসত এবং গণতান্ত্রিক ধারায় সুস্থ রাজনীতির চর্চা হতো। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত দেখা গেছে, কিছু সময় কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। সুস্থধারার রাজনীতির জন্য ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই। এর বিকল্প হলো চোরাচালানি, মজুতদারি, মুনাফাখুরি, কালোবাজারি, গোল্ড স্মাগলিং ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন করে রাজনৈতিক নেতা বনে যাওয়া।
এখন আসি অন্য প্রসঙ্গে, আমরা দেখি অনেকে ধর্মের কথা বলেন কিন্তু পশ্চিম দিকে ফিরে তাকায় না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে কোনোদিন সেজদা দেয় না- এমন লোকও আছে ধর্মের কথা বলে! আবার কিছু লোক আছে ধর্মকে ব্যক্তি, পরিবার, গোষ্ঠী তথা দলের স্বার্থে ব্যবহার করে। এই মানসিকতার লোকের কোনো অভাব নেই। তারা বর্তমান সরকারকে ধর্মীয় বিদ্বেষী এবং ভারতের দালাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার হ্যান কাজ নেই যে তারা করে না। এই মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক। দেশে এই মানসিকতার শিক্ষক ও তাদের অনুসারীর অভাব নেই। তারা প্রমাণ করতে চাচ্ছি যে আওয়ামী লীগ ধর্মবিদ্বেষী।
আওয়ামী লীগের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ রক্ষা করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা দরকার। সেটা কতটুকু করছে, সে ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন আছে। কিন্তু তারা ধর্মবিদ্বেষী এ ব্যাপারে প্রশ্ন আছে। এই দলের প্রধান ধর্ম-কর্ম করেন এবং অত্যন্ত শালীন পোশাক পরেন।
ভারতের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ সম্প্রদায়িক বিজেপি দলের নেতৃত্বে ধ্বংস করা হয় এবং সেখানে রামমন্দির নির্মাণ করা হয়। সেটা ধর্মকে ভালোবেসে, না রাজনীতির স্বার্থে- এটা সচেতন বিশ্ববাসী বোঝেন।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তথা সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের কারণে এখানে আস্তিক-নাস্তিক আছে। ব্যক্তি-বিবেচনায় ধর্মের পক্ষেও থাকতে পারে, বিরুদ্ধেও থাকতে পারে। কিন্তু ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল ধর্ম-কর্ম বিদ্বেষী- এ অনুভূতি লালন করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত।
কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ বাম দলগুলোকে অনেকেই মনে করেন ধর্ম-ক

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।