আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এ ওবায়দুর রহমান ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদের সম্পর্কে গত ৩০ অক্টোবর বুধবার বিকালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তা পুরান বাসস্ট্যান্ডে কৃষকদলের আয়োজনে এক জনসভায় কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে ফরিদপুর জেলার যদুনন্দী ও পরমেশ্বরর্দী ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ময়েনদিয়া বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বোয়ালমারী- ময়েনদিয়া রোডে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খাড়দিয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস কাজীর সভাপতিত্বে বোয়ালমারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ হাসান সজীবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. আসাদ মাতুব্বর, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান বাবু, সালথা উপজেলা যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, এনায়েত হোসেন, যুবদল নেতা ফরিদ হোসাইন,পরমেশ্বরর্দী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী, পরমেশ্বরর্দী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আক্কাস মাতুব্বর, সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাওলানা আজিজুল ইসলাম, বড় খাড়দিয়া বিএনপি নেতা মো. টুলু মিয়া, সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা প্রফেসর শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল, বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. উজ্জল মুন্সী সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৩০ অক্টোবর বুধবার বিকালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তা পুরান বাসস্ট্যান্ডে কৃষকদলের আয়োজনে এক জনসভায় কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের কুরুচি পুণ্য বক্তব্য প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তারা।
এ সময় তারা আরো বলেন, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে বিএনপির নেতাদের নামে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন। বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ এখনই খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে বহিষ্কার করে এই এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেন। তা না হলে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের কারণে বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গার বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।