এস এম জীবন রায়হান, শরীয়ত প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর-ইছাপাশা গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশকেও অশান্ত করে তোলে। সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় এবং ৬৪ নং সুরেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইছাপাশা ও পশ্চিম সুরেশ্বরের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার শিকার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বাধা দেওয়া, তাদের ওপর শারীরিক হামলা এবং ইভটিজিংয়ের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি, এবং পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টার সময় এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং ইছাপাশা ও পশ্চিম সুরেশ্বর গ্রামের সর্বস্তরের জনগণ একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন। তারা জানান, এ ধরনের সহিংসতা এবং অপ্রীতিকর আচরণ শুধু শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব ফেলছে না, এটি শিক্ষার পরিবেশকেও চরমভাবে ব্যাহত করছে। তবে সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। মানববন্ধনে উপস্থিত জনগণ প্রশাসনের কাছে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার এবং ইভটিজিংসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অস্থিতিশীল করা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখতে হবে। সুরেশ্বর-ইছাপাশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের দিক থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।