তাপস,শ্রীনগর মুন্সিগঞ্জ
শ্রীনগরে ৮ মাসে পল্লী বিদ্যুতের ৫০টি ট্রান্সফরমার ও ২১৩ মিটার তার চুরি হয়েছে। চুরি করার সময় পল্লী বিদ্যুতের কর্মী ও স্থানীয়রা আসামি ধরে থানায় দেয়ার পর সেই ২টি ঘটনায়ই শুধু মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে এই বছরের মে মাস পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে কুকুটিয়া, ষোলঘর, আটপাড়া, পাটাভোগ, হাঁসাড়া, কোলাপাড়া, তন্তর, বীরতারা ও শ্রীনগর এই ৯টি ইউনিয়ন থেকে ৫০টি ট্রান্সফরমার ও আটপাড়া, হাঁসাড়া এবং শ্রীনগর ইউনিয়ন থেকে ২১৩ মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া ট্রান্সফরমারগুলোর রেটিং ৫ থেকে সাড়ে ৩৭ কেভি। শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সূত্র জানায় চুরি যাওয়া এ সকল ট্রান্সফরমার ও তারের অনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুসারে প্রথম বার ট্রান্সফরমার চুরি হলে এর অর্ধেক মূল্য গ্রাহক ও অর্ধেক মূল্য সমিতি বহন করে। কিন্তু একই স্থান থেকে দ্বিতীয় বা তার অধিকবার চুরি হলে এর পুরো অর্থ গ্রাহককেই পরিশোধ করতে হয়।
অর্থ পরিশোধ না করার কারণে অনেক স্থানে চুরি যাওয়ার পরও এখনো ট্রান্সফরমার লাগানো সম্ভব হয়নি। যে কারণে অনেক গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত ৬ই জুন রাত দেড়টার দিকে উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় বৈদ্যুতিক শকে খুঁটির উপর থেকে নিচে পড়ে গেলে আহত অবস্থায় চোর রাসেল শিকদার (২৩)কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। রাসেল পদ্মা দক্ষিণ থানার হাজরাকান্দা এলাকার হবি শিকদারের ছেলে। সে শ্রীনগর কাঠপট্টি হালিম মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।