মোহাম্মান সোলাইমান, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
যাদের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস আছে, সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে, কারো ধর্ম পালনে কেউ প্রতিপক্ষ হবেনা, এমনকি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও সম্মান করবে তাহলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক সম্প্রতি কখনো নষ্ট হবেনা। শুধু ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিভাজন নয় এখন পরিবারে দুই ভাইয়ের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিবেশীর সাথে বিরোধ, যার কারণে সমাজের সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। তবে যারা বাস্তবে ধর্ম পালনের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের কোন ধর্মের লোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে কোন উস্কানি বা অপপ্রচার করেনা। একমাত্র তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে যাদের কোন ধর্ম নাই, তারা দুষ্কৃতিকারী সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসব কথা বলেন।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও সমবায় কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ নাথের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার পাশেই রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সীতাকালী মন্দির। শত বছরের ঐতিহ্য দুই ধর্মের ভিন্ন দুটি প্রতিষ্ঠান থাকা সত্যেও কখনো তাদের মধ্যে কোনরকম বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। তাঁরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। যারা এ সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবু রায়হান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম বাসেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ, শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক দামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম, হাটহাজারী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাস্টার জাহিদ হোসাইন, ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ আহমদ, পূজা উদযাপন পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি বাবু পরিমল চন্দ্র দে, হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি বাবু কেশব কুমার বড়ুয়া।
বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজায় সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ও সমাজে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রশাসনকে সহযোগীতা করতেও আহবান করেন। এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।