আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন ১০ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুই প্রতিষ্ঠান। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামালের জন্মদিনে শনিবার ০৫ আগষ্ট) তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার দেওয়া হলো।
পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে আজীবন সম্মাননা পান কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক।
খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পান বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান সাবিনা খাতুন, জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ ও দক্ষিণ এশিয়ার স্বর্ণপদক বিজয়ী ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম।
উদীয়মান খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় এবং হকি খেলোয়াড় আমিরুল ইসলামকে।
ক্রীড়া সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান খন্দকার তারেক মো. নুরুল্লাহ। ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে পুরস্কার পান আতাহার আলী খান। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কার পান মালা রানী সরকার ও ফজলুল ইসলাম।
ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন আর ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পুরস্কার পেল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে আলোচিত খেলা আরচারি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে খেলাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জায়গা করে নেওয়ায় বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন পেয়েছে সেরা সংগঠনের স্বীকৃতি। এ ছাড়া খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনও স্বীকৃতি পেয়েছে।
একনজরে পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা
আজীবন সম্মাননা: আব্দুস সাদেক
খেলোয়াড়: তাসকিন আহমেদ (ক্রিকেট), সাবিনা খাতুন (ফুটবল) ও জিয়াউল (ভারোত্তোলন)
উদীয়মান: হৃদয় ও আরিফুল ইসলাম (টেবিল টেনিস)
সংগঠক: ওস্তাদ ফজলু (হকি) ও মালা রাণী (কলসিন্দুর)
পৃষ্ঠপোষক: বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন
সংগঠন: বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন
ধারাভাষ্যকার: আতহার আলী খান (ক্রিকেট)
সাংবাদিক: খন্দকার তারেক (ফটোসাংবাদিক)।