সাতক্ষীরা তালার কিসমতঘোনা গ্রামে মৎস্য ঘের বিরোধকে কেন্দ্র করে দিদারুল মোড়ল নামের ৪র্থ শ্রেনীর এক সরকারী কর্মচারীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, তালা উপজেলার কিসমতঘোনা এলাকায়। গত ৪ নভেম্বর দুপুরে কেসমতঘোনা বিলে দিদারুল মোড়লের মৎস্য ঘেরের ভেড়ীবাঁধ সংলগ্ন ঋষিপাড়ায় খৃষ্টান মিশনের বাথরুমের পাশ থেকে ২ টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করে তালা থানা পুলিশ। এরপর সন্ধ্যায় ঘের মালিক দিদারুল বিষয়টি খোজ নিতে থানায় আসলে একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় বলে ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে তালা উপজেলার কিসমতঘোনা বিলে একটি মৎস্য ঘের ডিড নেয় পার্শ্ববর্তী দেওয়ানীপাড়া গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে দিদারুল মোড়ল। গত ৪ নভেম্বর দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তালা থানার এসআই নাসির উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গাঁজা গাছ ২ টি উদ্ধার করে।
দেওয়ানী পাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সেকেন্দার মোড়ল জানান, পরিত্যাক্ত সীমান্ত এলাকায় ঋষিপাড়ার মিশনের বাথরুমের পাশ থেকে গাজা গাছ উদ্ধার করলেও এলাকার একটি কুচক্রী মহালের ইন্দনে পার্শ্ববর্তী ঘের মালিক দিদারুল মোড়লকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ভাই দিদারুল মোড়ল, গত ৪/৫ মাস পূর্বে ঘেরটি নিয়েছে, কিন্তু গাঁজা গাছটির বয়স ১ বছরের বেশী হবে। তিনি আরও জানান, ঘের বিরোধের জের ধরেই দিদারকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের (গাঁজা গাছ উদ্ধারের স্থান) জমি ছাড়া বাকী অন্যান্য ১৭ জন জমাদার দিদারকে ডিড করে দিয়েছে।
ঘের মালিক দিদারুল মোড়ল (গ্রফতারের পূর্বে)জানান, আমি লোক মারফত জানতে পারলাম আমার ঘেরের পূর্ব সীমানা সংলগ্ন মিশনের বাথরুমের পিছন থেকে গাছ উদ্ধার করেছে, ঐ স্থানে আমাদের যাতয়াতের রাস্তা নেই। ঐ স্থান আমার ঘেরের সীমানা র বাইরে, আমি তো ঘেরে থাকি না , কর্মচারী থাকে, কারা গাছটি লাগিয়েছে আমি জানি না,
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, দুপুরের দিকে গাছ দুটি উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় ঘের মালিক দিদারকে সংশ্লিষ্ট ধারায় আটক করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।