আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তানিয়া বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার নটখোলা এলাকা থেকে ওই
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তানিয়া ওই গ্রামের ইয়াছিন মাতুব্বরের স্ত্রী বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাস আগে প্রেম করে তানিয়া নটখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের ছেলে ইয়াছিন মাতুব্বরকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকেই মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। শুক্রবার সকালে তানিয়াকে গোপনে মোবাইলে কথা বলতে দেখে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়। এতে অভিমান করে তানিয়া শুক্রবার সকাল ১০ টা হতে বেলা
১২টার মধ্যে যেকোনো সময় পরিবারের সকলের অজান্তে স্বামীর বসত ঘরের বারান্দায় কাঠের আড়ার সাথে তার নিজের ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নেয়।পরে সালথা থানা পুলিশ কে সংবাদ দিলে তারা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তত করে এবং মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক
অনুসন্ধান করে।
ইয়াছিন মাতুব্বরের মা ইতি বেগম জানান, সকালে ইয়াসিন মাতুব্বর তার স্ত্রী তানিয়াকে বসত ঘরের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তার পরে ইয়াসিন তার বাবা ও আমি বাড়ির পাশে জলাশয়ে পাট ধোয়ার কাজে ব্যস্থ হয়ে পড়ি। কাজ শেষ করে দুপুর ১২ টার দিকে বাড়িতে এসে দেখি তানিয়া আমাদের টিনের ঘরের চালের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। অতঃপর আমি ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে
তানিয়ার মরদেহ মাটিতে নামায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আওলাদ
হোসেন বলেন, খবর পেয়ে বিকাল ৪ টার দিকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।