শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ  ‎ জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ কালিগঞ্জে সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ কালিগঞ্জের নলতায় কৃষকদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীবাড়ীতে পবিত্র কুরআনের সবক ও পুরস্কার বিতরণী । ‎ জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ (জিসপ) এর জেলা কমিটি অনুমোদন মুন্সীগঞ্জে হেরোইন সহ আটক মামলার আসামীর ৫ বছরের কারাদণ্ড কালিগঞ্জের মৌতলায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

সালথায় ফোন নাম্বার না দেওয়ায় ছাত্রীদের পেটালো বখাটেরা।

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৪২১ বার পঠিত

 

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সালথায় ফোন নাম্বার না দেওয়ায় পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে কয়েকজন ছাত্রীকে পিটিয়েছে বখাটে ছাত্ররা। হামলা ঠেকাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রও হামলার শিকার হয়। এরা সবাই দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল। খবর পেয়ে সালথা থানার ওসি সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ছাত্রীদের উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে পৌছে দেন। আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার ছাত্র-ছাত্রীরা হলেন, রুকসানা আক্তার, রুমি খানম, মেহেবুবা আকতার, সুমাইয়া আক্তার, মীম খাতুন, জুলেখা আকতার, ডলি আকতার, মো. হামিম ফকির ও রিয়াজুল ইসলাম। তারা সবাই উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী। এসব ছাত্র-ছাত্রীরা সালথা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রসার ইব্রাহিম হুসাইন বলেন, গত ৩-৪ দিন আগে আমার মাদরাসার কয়েকজন ছাত্রী সালথা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে তাদের গাড়িরোধ করে ফোন নাম্বার চায় মাঝারদিয়া মাহিরুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র রাহাত হোসেন ও তার বন্ধু স্থানীয় বখাটে হৃদয় শেখ। হৃদয় শেখ সোনাপুর এলাকার ইউপি সদস্য মুন্নু শেখের ছেলে। ফোন নাম্বার না দেওয়ায় তখন তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও কথাকাকাটি হয়।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাহাত ও হৃদয়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই জেরধরে বুধবার দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে সোনাপুর মোড় থেকে ওই ছাত্রীদের উপর হামলা চালায় রাহাত, হৃদয় ও তাদের সহযোগিরা। সহযোগিরা বেশিরভাগই মাঝারদিয়া মাদরাসার ছাত্র। তারা লোহার রড, হাতুরী, রামদা ও চাপাতী দিয়ে ওই ছাত্রীদের আঘাত করে। এ সময় হামলা ঠেকাতে গিয়ে ওই ছাত্রীদের সাথে থাকা কয়েকজন ছাত্রও আহত হয়। তবে কেউ মারাত্বক আহত হয়নি। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার শিকার জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র হামিম ফকির বলেন, আমরা পরীক্ষা দিয়ে অটোরিক্সাযোগে বাড়ি ফেরার পথে সোনাপুর মোড়ে আমাদের গাড়ি থামায় দুটি ছেলে। তারা প্রথমে অটোরিক্সার চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে গাড়িতে থাকা ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কিছু সময় পর ওই ছেলে দুটির সাথে স্থানীয় কয়েক যুবক ও মাঝারদিয়া মাদরাসার ছাত্ররা যোগ দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।

অটোরিক্সা চালক আব্বাস আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার পথে কয়েকজন আমাকে বলে এই গাড়ি থামা। গাড়ির থামানোর সাথে সাথেই দুইজনকে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করে। আমি ঠেকাতে গেলে রামদা ও চাপাতী নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি ভয়ে পালাই।

মাঝারদিয়া মাহিরুন্নেছা দাখিল মাদরাসার সুপার মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি ভাল জানি না। আমি আমার ফরিদুপরের বাসায় রয়েছি। খোজখবর নিয়ে দেখছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ৯৯৯ এ ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি সোনাপুর মোড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি মেয়েদের ফোন নাম্বার চাওয়াকে কেন্দ্র করে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে মাঝারদিয়া মাহিরুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ও জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মারামারি বাধে। পরে জগজ মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িয়ে বাড়ি পৌছে দেয়া হয়। আগামী ১০ অক্টোবর ব্যবহারিক পরীক্ষার দিন ওই ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশী নিরাপত্তায় কেন্দ্রে আনা-নেওয়া হবে। এ ঘটনায় হামলার শিকার জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র হামিম ফকির থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।