মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যম শিয়ালদি গ্রামে প্রতিবেশির গাছ জোর করে কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ২ নারী গাছ কাটায় বাধা দেওয়ায় তাদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আলেয়া বেগম (৩৫) বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (২৫মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-২এ এজাহার দায়ের করেছেন।
ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট্র শহিদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশকে তদন্ত দিয়েছেন বলে জানান, ওই আদালতের পেশকার রাজিব বর্মন। বাদির অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বাদি উপজেলার মধ্যম শিয়ালদি গ্রামের বাবুল খানের স্ত্রী। তার স্বামী ও দুই দেবর বিদেশে থাকেন। একই গ্রামের প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম খান, দ্বীন ইসলাম খান, আলমগীর খানদের সাথে তার স্বামী ও দেবরদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
গত ২০ এপ্রিল দুপুরে নরুল ইসলাম খান গংরা বাদির স্বামী ও দেবরদের জমিতে জোড় করে গাছ কাটতে আসলে সে ও তার জাল লিজা বাধা দেয়। এ সময় নুরুল ইসলমা গংরা সে ও তার জাল লিজাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তাদের গাছের ডাল ও বাঁশ ঝাড় হতে বাঁশ কেটে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি আলেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী ও দুই দেবর বিদেশ থাকে । আমি আমার বৃদ্ধা শশুড়ি ও জাঁকে নিয়ে বাড়িতে থাকি। নুরুল ইসলামরা আমাদের জমির গাছ কাটতে আসলে আমরা বাধা দিলে তারা আমাকে ও আমার জাঁকে মেরে আমাদের গাছে ডালা ও বাশঁ কেটে নিয়ে গেছে। পরে আমি এলাকাবাসীকে জানাইলে দির্ঘদিনে বিচার না পেয়ে আদালতে এসে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।
বাদি আরো জানান, দ্বীন ইসলাম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তাকে পুলিশ এর আগে ৩ বার ধরে আদালতে প্রেরণ করে। সে রাস্তাঘাটে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের দেখলে অশ্লিল ভাসায় গালিগালাজ করে ও বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। তিনি বলেন আসামী আলমগীরের বাবা সুরুজ খান ছিলো হত্যা মামলার আসামী। আলমগির বলে আমার বাবা এক সময় মানুষ জবাহ করছিল আমিও তোদের জবাহ করিবো।