স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি,জমি জবরদখল ও বাড়ি ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্র ও ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস ছামাদের সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে শিক্ষক মোজাম্মেল হকের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে আব্দুস ছামাদের জমিতে থাকা টিনের চালাঘর, খাট, টিনের বাউন্ডারি টিন খুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে মোজাম্মেল মাস্টার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগে আরো জানা যায় সামাদের পুরাতন বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করাসহ নগদ টাকা সোনাদানা গহনাগাঁটি লুট করে নিয়ে যায় মোজাম্মেল মাস্টার। এতে আব্দুস ছামাদ ও তার স্ত্রী সন্তান বাঁধা দিতে গেলে মোজাম্মেল মাস্টার ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে ।
এসময় স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক সামাদের স্ত্রী আসমা বেগমের পরনের কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী সামাদ জানান নগদ টাকা ও গহনাগাঁটিসহ মোজাম্মেল মাস্টারের লোকজন তার ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মিলন মিয়া জানান, মোজাম্মেল মাস্টার ও তার ভাড়াটে লোকজন চোখের পলকে সবকিছু ভেঙ্গে চুরে লুটপাট করে নিয়ে যায়। সেই সাথে সামাদের ১৪ শতক জমি জবরদখল করে।
এনিয়ে স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নতুন বাড়ি ভাংচুরের সময় ঐখানের আশেপাশে ছিলাম,পুরাতন বাড়ি ভাংচুর করিনি। শ্লীলতাহানির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।ঘটনার বিষয়ে আব্দুস সামাদ ৮জনকে অভিযুক্ত করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার সরকার ইফতেখারু মোকাদ্দেম বলেন ঘটনা স্থানে থানা থেকে যিনি গিয়েছেন তার কাছে খবর নেন।পরবর্তীতে ঘটনাস্থান তদন্তকারী এস আই তারিকুল তৌফিক এর কাছে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।