জয়ন্ত সাহা যতন,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা),প্রতিনিধিঃ নিজের কর্মস্থলেই প্রকৃতিকে ভালোবেসে গড়ে তুলেছেন ছাদকৃষি। ছাদকে বানিয়ে ফেলেছেন সবুজের সমারহে আবৃত ফলের বাগান। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবন ছাদে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফলের চাষ করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির।বোঝার উপায় নেই এটি ছাদ নাকি সবুজ ফসলের মাঠ। ওই ছাদেই শোভা পাচ্ছে ড্রাগন, কমলা, আপেল, মালটা, আম, কামরাঙা, আঙ্গুর, আমড়া, কদবেল, তেঁতুল, বেদানা, ডালিম, লটকন, আপেলকুল, লেবুসহ নানা ফলফলাদির গাছ। তার এ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা সহ সচেতন মহল।সরেজমিন দেখা গেছে,উপজেলা পরিষদ অফিস ভবনের ছাদে শখের বশে কৃষি বাগানটি গড়ে তুলেছেন উপজেলা কৃষি দপ্তর। ছাদের ওপরে সারিবদ্ধভাবে বড় ড্রামের টবে মাটি ভরাট করে প্রতিটি টবে ড্রাগন, কমলা, আপেল, মালটা, আম, কামরাঙা, আঙ্গুর, আমড়া, কদবেল, তেঁতুল, বেদানা, ডালিম, লটকন, আপেলকুল, লেবুসহ নানা ফলফলাদির গাছ। অনেক গাছে ফলও ধরেছে,সেগুলো মিষ্টি ও সুস্বাদু।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির জানান, নিজস্ব অর্থায়নে ওপরিচর্যায় তিনি ছাদকে ফলদ বাগানে পরিণত করে তুলেছেন। বাগানটি গড়তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন তার অফিসের অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তাও।তিনি আরো বলেন, ছাদ কৃষিতে খরচ কম হয়। এতে পরিবেশ সুন্দর থাকে। ছাদ কৃষির সবচেয়ে ভালো উপকারিতা হচ্ছে এটা পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এ ছাড়াও ভবনের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারেন। এতে একাধারে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে তেমনি নিজেদের চাহিদাও মিটবে। তিনি উপজেলায় বসবাসরত সকলকে ছাদ কৃষিতে এগিয়ে আসতে বলেন।এবং কৃষি অফিস থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাসও দেন।।