স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার জন্য সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেয়ার নির্মিত্তে মালখানায় পুরাতন যে গাড়িগুলো আছে তা প্রকাশ্য নিলামে দরপত্রের ভিত্তিতে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে মেসেজ যাবে যে সরকারি সম্পত্তিগুলো যাদের কাছে জমা থাকে তারা দায়িত্বশীল হিসেবে বিশেষ করে বিচার বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা রাষ্ট্র ও প্রজাতন্ত্রের কোষাগারে জমা দেওয়ার তৈরি থাকে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার দিকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্য নিলাম দেওয়ার সময় আদালতের বিচারক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।,
তিনি আরো বলেন, অনেক দিন পরে আমাদের জন্য একটা গৌরবের দিন। মালখানায় যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক রয়েছেন, মানুষের কাছে মেসেজ যাবে যে সরকারি মাল যেখানে থাকুক যেভাবে থাকুক, রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা নাগরিকের দায়িত্ব, বিশেষ করে আমরা যারা সরকারি দায়িত্ব পালন করি তাদের ক্ষেত্রে বৃহত্তর স্বার্থ সরকারি মাল রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং যখন দরকার সেটাকে আইন সঙ্গতভাবে বন্দোবস্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া।
আমরা সেটা স্বচ্ছভাবে করছি। প্রকাশ্য নিলাম পরিচালনা করেন নিলাম কমিটির সভাপতি আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম। নিলামে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন, নিলাম কমিটির সদস্য সচিব ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান, নিলাম কমিটির সদস্য ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দুরদানা রহমান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরী। এ সময় বিভিন্ন কোম্পানির আটককৃত ১৮ টি মোটর সাইকেল, একটি পাজারু জিপ গাড়ি ও একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্স্রাা প্রকাশ্য নিলামে তোলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, আদালতের বেঞ্চ সহকারী জীবন সরকার।