শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেলো শতাধিক রোগী মুন্সীগঞ্জে গজরিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই মেঘনা ভিলেজের মুদি দোকান নারায়ণগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে মুন্সিগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু কালিগঞ্জে রোমানিয়া প্রবাসীর অফিসে হামলা চালিয়েছে দুবৃত্তরা সুইজারল্যান্ডে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জুরিখ বিএনপির প্রস্ততি সভা মুন্সীগঞ্জে মরহুম গোলাম মোস্তফা ওরফে (মেঘু মোল্লা)র ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ও দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই,দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই:এ্যাডঃ এ,বি,এম,সেলিম সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মানববন্ধন  মধ্যনগরে চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি।

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২
  • ২১৯ বার পঠিত

 

মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ

ঢেঁকি আমাদের গ্রাম বাংলার প্রাচীন গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি সামগ্রী। গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশেও এর একটা বিশেষ গুরুত্ব ছিল। গ্রামীণ নারীরা চালের গুঁড়া দিয়ে চিতই পিঠা, রুটি পিঠা, তালের পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা তৈরি করতেন। এসব তৈরি হতো ঢেঁকি ছাঁটা চালের গুঁড়া দিয়ে।

কালের বিবর্তনে এসব পিঠা তৈরি ঢেঁকি ছাঁটা চালের গুঁড়া তেমন ব্যবহার হয় না বললেই চলে। একসময় গ্রাম-গঞ্জসহ সর্বত্র ধান ভাঙ্গা, চাল তৈরি, গুঁড়া কোটা, চিড়া তৈরি, মশলাপাতি ভাঙ্গানোসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হতো চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। ঢেঁকিতে চিড়া কোটা আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অংশজুড়েই আছে। ঢেঁকি ছাঁটা চালের কদর ছিল খুব বেশি। তাই ঢেঁকি ছাঁটা চালের চাহিদা আজও কমেনি।

এক সময় গ্রামের গৃহস্থ বাড়িতে ঢেঁকি থাকাটা বনেদি সমৃদ্ধ গৃহস্থ পরিবারের পরিচয় বহন করত। এখন কালের পরিক্রমায় আমাদের ঐতিহ্যের ঢেঁকি বিলুপ্ত। গ্রাম বাংলার গৃহস্থ বাড়িতে শোনা যায় না ঢেঁকির ছন্দময় শব্দ। ঢেঁকি একসময় আমাদের কৃষিকাজে নির্ভর গ্রামীণ জনপদে খুব দরকারি সামগ্রী ছিল। বর্তমানে গ্রামে-গঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি খুঁজে পাওয়া কঠিন। কালের বিবর্তনে বর্তমানে আমাদের অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ-সংস্কৃতির অংশ ঢেঁকির ব্যবহার হারিয়ে যাচ্ছে। আর এর ব্যবহার হারিয়ে গিয়ে ঢেঁকি এখন বিলুপ্ত।

ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার চাষি বাদশা হাওলাদার বলেন, ‘আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে এখন ঢেঁকিশিল্প বিলুপ্ত।ব্যবহার না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। আমাদের ছেলেমেয়েরা ঢেঁকি চেনে না। নতুন প্রজন্ম এই প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে তেমন জানে না। তৎকালীন সময়ে আমরা জমি থেকে পাকা ধান কেটে এনে ঢেঁকিতে মাড়াই করতাম। এখন এই কাজটা মেশিনে সেরে নেই। মুলত ঢেঁকির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণে এটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।