মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চর গুলগুলিয়া গ্রামে সারাফত আলীর ছেলে মোঃ সোহেল ও রুমেল হোসেনের বসত বাড়ি ও স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়ায় গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চর গুলগুলিয়া মোঃ সোহেলের বসত বাড়ি ও স্থাপনায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত সারাফত আলীর ছেলে রুমেল হোসেন বলেন,সিরাজদিখান থানাধীন বাসাইল ইউনিয়নের চর গুলগুলিয়া মৌজায় ১২৪ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবত আমরা ভোগদখল সহ জমির চারপাশে ইটের বাউন্ডারি এবং ভিতরে স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি।এখানে ঘরবাড়ি স্থাপনা নির্মাণের পর থেকেই জমির আলীর ছেলে মোঃ আলহাচাব ও মোঃ আলমাছের ছেলে মাঈনুদ্দিন গ্রুপ একাধিকবার আমাদের কাছ থেকে চাঁদা চেয়েছে।প্রথম অবস্থায় কিছু টাকা দিয়েছি পরে আবার তারা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চাইলে দিতে অস্বীকার করায় আমাদের উপর হামলা করে।গতকাল আলহাচাব ও মাঈনুদ্দিন গ্রুপের প্রায় ২০ / ২৫ জনের সন্ত্রাস বাহিনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এতে বাড়ির বাউন্ডারি সিসি ক্যামেরা এবং বসত ঘর ভাঙচুর ও জিনিস পত্র লুটপাট সহ প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে যায়।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম মিজানুল হক বলেন,এদের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে মারামারি সহ চাঁদাবাজির মামলা হয়।মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই ধরনের ঘটনা শুরু করেছে। বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সিরাজদিখান সার্কেল মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন,ঘটনাটা আমি জানি এই ধরনের চাঁদাবাজদের অভিযোগ পেয়ে আমরা তাদের ধরছিলামও।পুনরায় আমরা এইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে যাবো।
ক্যাপশন – ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় সিরাজদিখানে ঘরবাড়ি সহ স্থাপনা ভাঙচুর