জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ ৭’ই মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। সেদিন সমাবেশে ভাষণ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পথ রচনা করেছিলেন তিনি।তাঁর এ উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধ জাগরণের মহাকাব্য। বাঙালি তথা বিশ্বের সব লাঞ্ছিত-বঞ্চিত নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির সনদ।
বুধবার (৮মার্চ) সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপরিক্ত কথাগুলো বলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী।
তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভাষণটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ তাঁর দেওয়া স্বাধীনতার ডাক সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।সেদিনের ১৮মিনিটের ৭মার্চের ভাষণই মুলত স্বাধীনতা আন্দোলনের ইঙ্গিত।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী জ্যোতিময় চক্রবর্তী কিরিট’র সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনাসভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার,সহসভাপতি শফিউল আলম,সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম,গোলাম কবীর মুকুল,রেজাউল আলম রেজা,আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী মোস্তফা মাসুম, কাকলী বেগম,সাকিব সাদনান রাতিন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আল্পনা গোষ্বামী সহ উপজেলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগ, কৃষকলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চন্ডিপুর ইউনিয়নের একদল নেতাকর্মী জাতীয় পার্টি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এসময় অতিথিগণ তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন।