এম, টি, রহমান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে গোপালগঞ্জ বাসীর অজানা “উড়ে আশা জুড়ে বসা” প্রার্থীদের টাকার ছড়াছড়িতে গোপালগঞ্জ বাসী হতাশ হয়ে পড়েছে। যাকে কেউ কোনোদিন দেখে নাই, গোপালগঞ্জের মিছিল সমাবেশে ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পায় নাই, সমাজ সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাকে কেউ কখনো দেখে নাই। আজ তারা চেয়ারম্যান এর দাবিদার। গোপালগঞ্জ বাসীদের। ওরা অতিথি কাক মনে করছে। মনে করছে ভাত ছিটালে কাক পাওয়া যাবে। এই ভ্রান্ত ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে ওদের । গোপালগঞ্জের মানুষ টাকায় বিশ্বাস করে না। আসুন মানুষের সাথে মিশুন মানুষকে ভালো বাসুন, তার পর দেখুন, মানুষের ভালবাসা পাবেন।
আসছে ৮ ই মে ২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে নির্বাচনের ঘোষণা দেন সরকার। এই প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জ জেলার উপজেলা উপজেলা সমূহ নির্বাচন সংঘটিত হবে। এই নির্বাচন ঘিরে মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে কিছু অতিথি পাখি এসে ভিড় জমিয়েছে। টাকা দিয়ে কিনছে বিভিন্ন এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের। টাকার মাধ্যমে এলাকার কিছু অসাধু মাতুব্বর কিনে তাদেরকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছে। এ যাবৎ গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে এমন নোংরামি কেউ কখনো দেখেনি বলে গোপালগঞ্জ বাসী মত প্রকাশ করেছে। গোপালগঞ্জের কিছু নব্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী নেতারা ক্ষমতার নাম ভাঙ্গিয়ে আড়ালে এই সকল কর্মকান্ড করে গোপালগঞ্জের রাজনীতির মাঠকে নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করছে ৮০ দশকে রাজনীতি ছিল অনেক ভাল। নিজের বাপের টাকা দিয়ে ৮০/৯০ সালে সকলে রাজনীতি করতো। ১৯৯৬ সালের পর থেকে নব্য আওয়ামী লীগের ভীড়ে পুরাতন কোনঠাসা। আজ দেখা যাচ্ছে ছাএলীগ যারা করে তারাও কোটি, কোটি টাকার মালিক। আজ রাজনীতির পরিবেশ কতটুকু পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন। গোপালগঞ্জবাসী। প্রতীক পাওয়ার আগেই এই সকল প্রার্থীরা গণসংযোগ বা নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নিজ প্রতীকের ছবি সম্বলিত গেঞ্জি বিলি, গণসংযোগ ও মটর সাইকেল শো ডাউন। গোপান সূত্রে জানা যায়, এই সকল অতিথি প্রার্থীরা মটর সাইকেল প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেয়। গোপালগঞ্জের এই ব্যপারটি অতি দ্রুত নজরে এনে ব্যবস্থা নিলে জণগণ স্বস্তি পেত।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাএ নেতা মাহামুদ হোসেন দিপু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন, শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম মিটু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপালগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ ইব্রাহীম খলিল, বি,এম লিয়াকত আলী ভুইয়া সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতিশ রায়, কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুল, সাবেক ছাত্র নেতা রমেন্দ্র নাথ সরকার, কমলেশ বিশ্বাস।
টাকার ছড়াছড়ি,মোটর সাইকেল সোঁ ডাউন করে জনচলাচলে বিঘ্ন, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন, প্রধান মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করা, সবকিছুই ঘটছে নির্বাচন কমিশনের চোখের সামনে। তারা এই ব্যাপার গুলো দেখেও না দেখার ভান করছে। উপজেলা বাসী ধারনা করছে “যে ওঝা ভূত ছাড়াবে তাকেই ভূতে ধরেছে”। টাকার ভিড়ে ওরাও হারিয়ে গেছে বলে ধারনা করছে এলাকা বাসী। এই সকল ব্যাপার গুলো আমলে এনে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারির একান্ত প্রয়োজন বোধ করছে গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও ভোটাররা। আগামী কাল নির্বাচন এই পযন্ত কাউকে কোন শোকজ বা নোটিশ নির্বাচন কমিশন দেননি। বিভিন্ন রঙের পোস্টার, গেঞ্জি বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে। এবার গোপালগঞ্জে দলীয় কোন প্রার্থী না দেওয়ায় সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান অনেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে। গোপালগঞ্জ বাসী ৮ মে ২০২৪ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। গোপালগঞ্জে এবার কোন অনিয়ম হতে দেবেনা সাধারণ ভোটাররা। প্রতি কেন্দ্র হতে সঠিক তথ্যের অপেক্ষায় থাকবে উপজেলা বাসী। বিভিন্ন সূএে জানতে পারলাম এবং লাইভ ভিডিও করে একে অন্যকে হুমকি প্রদর্শন করছেন বিধায় আতংকের আশা প্রকাশ করছেন। জণগণ শান্তি চায়। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন এর অপেক্ষায়।