স্টাফ রিপোর্টারঃ বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইমান হোসেন কর্তৃক কলেজে পরিবার তন্ত্র কায়েম দুর্নীতি স্বজন প্রীতি!অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ও তার অপসারণের দাবীতে সুন্দরগঞ্জে নাগরিক কমিটির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১১’অক্টোবর(মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা শাপলা কুঁড়ির আসর চত্বরে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক শেখ শাহীন এর সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আইযুব হোসেন,বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজের গর্ভনিং বডির সদস্য ইসমাইল হোসেন মুক্তি,আব্দুর রহমান মন্ডল,গত ১৭সেপ্টেম্বর কলেজের নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থী জয়ন্ত সাহা যতন প্রমূখ।এসময় বক্তারা বলেন,বামনডাঙ্গা আব্দুল হক মহাবিদ্যালয় ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় অধ্যক্ষ মোঃ ইমান হোসেন ব্যবস্থাপনা প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে গভর্নিং বডিকে ম্যানেজ করে তার চেয়ে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ১৯৯৮ সালে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ নেন। তার এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয় এবং দীর্ঘদিন মামলা চলমান থাকে। অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পাকা-পাকি হওয়ার পর থেকে ওই অধ্যক্ষ তার দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির জাল বিস্তার করে নিয়োগ বানিজ্য ও ভূয়া বিল ভাউচারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে।২০০৩ সাল অধ্যক্ষ মোঃ ইমান হোসেন স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তার আপন বড় ভাইয়ের নাতি মোঃ আব্দুল্লা ইবনে মাহমুদ (উজ্জল) কে সাচিবিক বিদ্যার প্রভাষক (বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক) পদে নিয়োগ দান করে।২০১৩ সালে নিজের ১ম পুত্র সাবেক ছাত্রদল নেতা (বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার বহিস্কৃত যুগ্ম আহবায়ক) আব্দুল্লাহ আল মেহেদী (রাসেল) কে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ দেন। ১২ সদস্য বিশিষ্ট গভর্নিং বডির অধ্যক্ষ ও সভাপতিসহ ৬ জনই একই গ্রামের। অধ্যক্ষ মনগড়া পকেট গভর্নিং বডি বানিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করে। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে অধ্যক্ষ তার ২য় ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী, মাদক মামলায় ৬ মাস কারাভোগকারী নিজ গ্রামের জনৈক মহিলাকে ধর্ষনের প্রচেষ্ঠাকারী মোঃ আরাফাত হোসেনকে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ দান করেন। একই সাথে তার ১ম ছেলের আব্দুল্লাহ আল মেহেদী (রাসেল) এর মাধ্যমে অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করে ল্যাব সহকারী, আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে আরও ৪ জনকে নিয়োগ দান করেছেন।
এছাড়া অধ্যক্ষ গত জুলাই মাসে ভূয়া নিয়োগ ও যোগদানপত্র গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে, ভূয়া রেজুলেশন তৈরী করে উক্ত অধ্যক্ষ তার পুত্রবধু একই কলেজের সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী (রাসেল) এর সহধর্মিনী লিফা আফরিন জেরিনকে পূর্ববর্তী তারিখ দেখিয়ে কলেজের গ্রন্থাগরিক প্রভাষক পদে নিয়োগ দান করেন। শুধু তাই নয়, ২০১১ সালে ডিগ্রী শ্রেণীর ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগেও উক্ত অধ্যক্ষ প্রায় ৩০/৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।