এস এ আখঞ্জী,তাহিরপুরঃ-
সুনামগঞ্জের হাওর-বাওর,ভাটির দেশে , গোধূলি লগ্নে মিলন ঘটেছে, আকাশ -জমিনের। সূর্য মামার কিরণ রশির ছোঁয়া লেগেছে , ঐ আকাশের খন্ড, খন্ড, মেঘে, ওঁরা কান্না ভুলে, আবীর রঙে, অপরুপে সাজে, নীল আকাশে, নেচে গেয়ে হাসতে হাসতে মাতিয়ে তোলে সারা আকাশ জোরে । যার প্রতিছবি জমির জলে।রুপে, গুণে অপরুপ, সৃষ্টি খেলা করে । সব মিলিয়ে সেরা, আমার জন্মভূমি, সকল দেশের সেরা । নেই কেহ আমার সাথে দিবে তুলনা। প্রেমে মজিয়াছে অগ্নি শিখা জলে, অপরুপ নগরী, আমার জন্মভূমি, গুনীজনরা বলে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাংগুয়ার হাওরের পার্শ্ববর্তী ছোট্ট, বড় হাওর গুলো, অগ্রহায়ণ মাসে, সূর্যের আলোক রশি যখন, জলে-স্থলে পড়ে, গাছ- বৃক্ষ, তরু- লতা, পল্লীর কুটির আলোকসজ্জায় হয়ে উঠে। সূর্যাস্তে আকাশের খন্ড, খন্ড মেঘ, কান্না ভুলে, মুচকি হাসি দেয়, ঝিলিক পড়ে তখন জলে। এ-সবে মনে হয় অগ্নি শিখা জ্বলে ওঠেছে, হাওর -বাওর, নদ- নদীর বুকে । অপরুপ হয়ে উঠে গোধূলি লগ্নে। কবি জীবনানন্দ দাশ এর কবিতার ছন্দ পড়ে মনে। ” বারে বারে ফিরে আসি যেন এই ধানসিঁড়ির তীরে।
গ্রাম গঞ্জের অপরুপ সৌন্দর্যের তুলনা হয়। যদি মনের মাধুরি মিশিয়ে অনুভব করা। তাই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,,গানের ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন- গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির দেশে, আমার মন ভোলায় রে। গ্রাম -গঞ্জেের, অজয় -পাড়া, নিরব পল্লী, হাওর -বাওর, নিন্মাঞ্চলে প্রকৃতি আপন মনে খেলে। যে খেলায় জমে উঠে, সৃষ্টির মাঝে অপরুপ, মুগ্ধ হয় পৃথিবীর মানুষ।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা দু- সৃজনে বিভক্ত , বর্ষা আর হেমন্ত। প্রকৃতির পুরো নিয়ম -নীতিটাই অনুভব করা যায়। বর্ষায় থইথই জলে, মহা সাগরের রুপ নেয় , ফাঁকা করে দেয় যোগাযোগ। একমাত্র নৌ পথে চলে আসা- যাওয়া।হেমন্তে কাল- বিলে, নদীনালায়, জল শূন্য হয়ে,গজিয়ে ওঠে সবুজ তরুলতা , পৃথিবীর বুকে সবুজের সমারোহ মাধুলী সাজায় অপূর্ব রুপে। উপজেলার ৫২.৪৬ বর্গ কিঃমিটার আয়তনের মধ্যে রয়েছে অনেক গুলো পর্যটন স্পষ্ট, এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিমুল বাগান সারি সারি গাছ,লাল ফুলে গালিচা। স্বচ্চ জলের নদী যাদুকাটা, মেঘালয়ের কুল ঘেষে বারেক টিলা, নীলাদ্রি লেক, শহীদ সিরাজের সমাধি,আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত অভয়ারণ্যে টাংগুয়ার হাওর। সবমিলিয়ে মনে হয় এক অপরুপ সৌন্দর্যের নগর।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুরক্ষায়,জীব-বৈচিত্র্য বিনাশ থেকে বিরত থাকতে হবে সবাই। এমনটা জানান স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তি।