নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
যারা নির্বাচন প্রতিহতের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের নামে বিচারপতির বাসায় হামলা করছে, পুলিশ-সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে, তাদের ক্ষমা নেই। আগুন নিয়ে খেলা বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে, নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।
আজ শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ২০০৬ সালে ১ কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই নির্বাচন বানচাল হয়ে যাওয়ায় তারা তা করতে পারেনি। এর ফলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
কাজেই ভোট চুরি করলে কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ মেনে নেয় না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হবে। সব সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।
বিএনপির নেতৃত্বের সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, এ দলের নেতাই নেই। খালেদা জিয়াও নির্বাচন করতে পারবেন না, তারেক জিয়াও পারবেন না। তারা দুজনই দণ্ডিত আসামি। তাদের নির্দেশে বিএনপি কেন নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাস করছে?
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে না চাইলে না করুক। সন্ত্রাস করছে কেন? বিএনপি নেতাকর্মীরা অগ্নিসন্ত্রাস করছে।
বাস পোড়াচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে। তাদের ওপর মানুষের অভিশাপ।নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির জনগণের ভোটে আস্থা নেই। এটা তাদের বিষয়। আমরা সংবিধান মেনে ভোট করব। আর যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ধরিয়ে দিতে হবে। জনগণ সচেতন হলে তারা অগ্নিসন্ত্রাসের সাহস পাবে না।