মুন্নি আক্তার,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলে প্রবেশ করানো হচ্ছে কঠোর তল্লাশিতে। মূল সভাস্থলের আগে আটটি তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। ব্যাগ, ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্র বিশেষভাবে তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুপুরের দিকে সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে পূর্ণ হতে শুরু করেছে পলোগ্রাউন্ড মাঠ।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে সভাস্থলে আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টা পর্যন্ত সভাস্থলের বাইরে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ এরই মধ্যে পূর্ণ হতে শুরু করেছে। তবে মূল সভা শুরু হবে দুপুরের পর। ৩টার মধ্যে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সব মন্ত্রী-এমপি সভায় উপস্থিত থাকবেন। সকালে পটিয়ার সাংসদ শামসুল হক চৌধুরীকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢুকতে দেখা গেছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভিন্ন উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কেউ মাথায় নৌকা সংবলিত টুপি, কেউ বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বাণী বুকে এঁকে সমাবেশে এসেছেন। মোহাম্মদ আলী এমন একজন। তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। মাথায় যে টুপি পরেছেন, সেটি নৌকার আদলে তৈরি করা। হাতে ব্যানার যেটি রেখেছেন, সেখানে লেখা শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য। ‘আমি চাই বাংলার মানুষের মুক্তি, শোষণের মুক্তি, যদি বাংলার মানুষের মুক্তি না আসে, তাহলে মৃত্যই আমার শ্রেয়।
চট্টগ্রামের নয়ন ভান্ডারি হাতে লম্বা বিশাল প্লাকার্ড নিয়ে সমাবেশে এসেছেন। তাতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সবিস্তার।
নয়ন ভান্ডারির বাড়ি চট্টগ্রামে। বুকে রেখেছেন বঙ্গবন্ধুর ছবি। হাতে লম্বা বিশাল প্লাকার্ড। তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সবিস্তার।
মিছিল নিয়ে দলে দলে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
জনসভা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফের সদস্যরা আগে থেকে জনসভাস্থলসহ সম্ভাব্য সব স্থানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।