সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বজ্রযোগিনী প্রক্তন ছাত্র ও অভিভাবক ফোরাম এর উপলক্ষে বৃত্তি প্রদান মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ীর দিঘীরপাড় ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে গন সমাবেশ অনুষ্ঠিত সুজন এর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কমিটি অনুমোদন কালিগঞ্জে ইকরা তা’লীমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসায় সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে প্রত্যয় আইডিয়াল স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আইইউটির শিক্ষার্থীর মৃত্যু ৩ আহত ১৫ রংপুরে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের বিভাগীয় সমাবেশ কালিগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৩৪৭বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক  বোয়ালখালীতে মদ বিক্রেতা আটক

আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩
  • ৩৭১ বার পঠিত

মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ আগামী নির্বাচনে তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’য় ভোট চেয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা এনেছে, এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তাই আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’-কে ভোট দিন। প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় কালে একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলে যায়। এ সময়ে তিনি গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা সংক্ষেপে তুলে ধরেন। পাশাপাশি, এসব উন্নয়ন যারা দেখতে পায়না, তাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা এই উন্নয়নের সুফল কিন্তু ঠিকই ভোগ করছেন। এরপর তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে কখনো ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং দেশের উনয়নও দেখতে পায়না, তাদের ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই। যারা দেশের উনয়ন চায় না, তাদের চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি অবশ্যই দেশের এই উন্নয়ন অব্যহত রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজের বাবা-মা ও ভাই হারিয়েছি। আপনারাই (কোটালীপাড়ার মানুষ) আমার আপনজন। আপনারা সব সময়ই আমার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাঁর নিজের আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান্যের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় না করেই তিনি কোটালীপাড়ার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গোপালগঞ্জে এসেছেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর দুই দিনের সফরের অংশ হিসেবে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিন ঘণ্টার সড়কপথে গাড়িতে পদ্মা সেতু পার হয়ে সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে গোটা গোপালগঞ্জ উৎসবের আমেজে বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সেজেছে এবং জেলা জুড়ে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।

প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর নিম, বকুল এবং আম- এই তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। শেখ হাসিনা দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে শুভেচ্ছা জানান এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’কে বিজয়ী করতে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সকলকে তাঁর জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান, যাতে তিনি জনগণের সেবা করতে পারেন।

পরে তিনি নবনির্মিত কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।

অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করার কথা।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। রাতেও প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়ায় থাকার কথা ।

রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। রোববার (২ জুলাই) বিকেলে তাঁর টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট ও সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত এবং দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দান করা । তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোর উন্নয়ন। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি, জাতি যথাযথ সম্মানের সঙ্গে মাথা উচু করে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাবে। আমরা এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক অভিযোগ করেই যাচ্ছে, যা বলার অধিকার তাদের নেই। তবু তারা তা করছে, কারণ তারা নির্বিবাদে কথা বলতে পারছে। তিনি বলেন, তাদের ক্ষমা করে দেওয়া ছাড়া, আমার কিছু করার নেই।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে সব উন্নয়ন হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, কোটালিপাড়ার মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য তারা রাস্তা-ঘাট,সেতু ও অন্যন্য অবকাঠামো নির্মান করেছেন। মানুষ কোটালিপাড়ায় আসার ক্ষেত্রে আগে যে কষ্ট পেত, যোগাযেগের উন্নয়নের ফলে এখন আর তাদের কোন ভোগান্তি পোহাতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশী ও বিদেশীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পদ্মা সেতু নির্মান করা তার সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তিনি বলেন,  দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থে আমরা পদ্মা সেতু নির্মান করতে সক্ষম হয়েছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা এবং আপনারা আমাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়, বরং জনগণের ভাগ্য গড়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় এসেছি। দেশে কোন দরিদ্র থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা চরম দারিদ্রতা কমিয়ে এখন পাঁচ শতাংশে নিয়ে এসেছেন। তার পিতা সাধারণ লোকদের বিনামূল্যে বাড়ী দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার দেশের প্রতিটি গৃহহীন ও ভুমিহীন লোককে বাড়ী দিচ্ছে, ফলে এদেশে কেউ গৃহহীন ও ভুমিহীন থাকবে না ।

প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রতি দেশের প্রতিটি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ্বব্যাপী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্বেও দেশে কখনও কঠিন খাদ্য সংকট হয়নি।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।