রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য মুন্সিগঞ্জে সচিবের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘনকুয়াশায় নৌযান ৮ ঘন্টা আটকা, হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে শহীদ জিয়া পরিষদের সদর থানার সভাপতি আলী আজগর পলাশ,সম্পাদক আরিয়ান রাজ ( রউফ) উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলা সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল দোতলা ঘর ফুলবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বিগত বছরে ৬৩৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৫৪৩ জন নিহত – যাত্রী কল্যাণ সমিতি বোয়ালখালীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জাগৃতি কার্যকরী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-২০২৬ শপথ গ্রহণ ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাড়ী দখলের অভিযোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট)
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২২৯ বার পঠিত

 

মোংলা প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মোহসিনিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে একটি অসহায় পরিবারের ১৩ শতকের একটি বসত বাড়ী দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারটির দাবী,বাগেরহাট জেলা জজ আদালতের নির্দেশনাও মানছেনা গোলাম মোস্তফা। এমনকি অসহায় পরিবারের ভুমি মালিক ওই ৪ নারীকে সহায়তার জন্য পাওয়ার গ্রহন করায় স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহাদাৎ সরদারকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছেন বহুরুপী মোস্তফা। আদালতের নির্দেশনা মতে ন্যায় বিচার পেতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মামলার বিবরন ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাযায়,মোংলা উপজেলার শেলাবুনিয়া মৌজায় এসএ -১১০ খতিয়ানে ৫৯৩ দাগে ১৩ শতক ভুমির ওয়ারিশ সুত্রে মালিক-স্থানীয় বাসিন্ধা কুলসুম বেগম,হাসিনা বেগম,তাসলিমা বেগম ও পারুল বেগম। ওই চারজন অসহায় নারীকে তাদের মালিকানা ভুমি থেকে সরিয়ে দিতে নানা ভাবে হয়রানী করতে থাকে পাশ্ববর্তী বাসিন্দা একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। হয়রানী করে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করতে না পেরে ০৮/০২/২০০৯ সালে একটি দলিল সম্পাদন করেন। যাতে দাতা হনুফা বেগমের কাছ থেকে ১৩ শতক ভুমি খরিদ করেন বলে উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয় হনুফা বেগম –তার মাতা আছিয়া বেগম এর কাছ থেকে দান পত্র গ্রহন করেন। দান পত্র দাতা আছিয়া বেগম উল্লেখিত দলিল ৮২২২/৮৩ নম্বর দলিলে মাত্র সাড়ে ৬ শতক ভুমির মালিক। এছাড়া দান পত্র দাতা আছিয়া বেগমের খরিদ করা দলিল ২০৬৪ ও ৮২২২ নম্বর এর আগে ১৭ ফেব্রয়ারী ১৯৯০ সালে আদালত কর্তৃক বাতিল হয়। কিন্তু বাতিল দলিল ধারা প্রতারনার মাধ্যমে গোলাম মোস্তফা দলিল সৃষ্টি করে অসহায় ওই নারীদের জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। গোলাম মোস্তফার প্রতারণার ফাঁদ থেকে রক্ষায় আদালতের সরনাপন্ন হন ভুক্তভোগীরা। জেলা জজ আদালতের দেঃ আঃ ৮২/২০২০ নম্বর মামলা যুগ্ন জেলা জজ খুরশিদ আলম ২১ জুন ২০২৩ সালে দেওয়া আদেশে বলেন,বাদীগনকে তাদের ভোগ দখলীয় বাড়ীতৈ শান্তিপূর্ণ ভোগ -দখলে বিঘ্ন করা হতে বিরত থাকতে গোলাম মোস্তফা নির্দেশদেন। কিন্তু ওই আদেশের পর গত বছরের ডিসেম্বরে জায়গাটি জবর দখলে নেয় গোলাম মোস্তফা। এর পর থেকে বিভিন্ন মানুষের কাছে ন্যায় বিচারের জন্য ঘুরছে পরিবারটি।

ওই ভুমির পাওয়ার গ্রহিতা ও ভুমি মালিক পারুল বেগমের স্বামী শাহাদাৎ সরদার জানান, আমার স্ত্রী ও তার বোনদের জায়গা গোলাম মোস্তফা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জবর দখল করে নিয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি নিরাপত্তা হীনতায় আছি।ন্যায় বিচারের জন্য আমি মোংলা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।

এবিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত সকল দিক বিভেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি জায়গাটি যখন খরিদ করেছেন, তখন জানতেন না তাকে যে দলিল থেকে জায়গা দেওয়া হয়েছে সেগুলো আদালত কতৃক বাতিল। এছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর শিউলি বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা টিটু ও লুৎফর রহমান আমিনসহ আমরা বসাবসি করেছি। তাদের সাথে একটা সমঝোতার চেষ্টা করছি। আদালতের নির্দেশনা কেন মানছেন না এমন প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দেন নি।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।