সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
আপত্তিকর অবস্থায় ব্রাক কর্মী মমতাজ ও প্রেমিক মনিরুল ইসলামকে
আটক করে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয় গ্রামবাসীরা।
সোমবার ১৭ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ৯টার দিকে
সাতক্ষীরা পারুলিয়া খেজুর বাড়িয়া বলফিল্ড মাঠের পাশে একটি ভাড়াবাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা সাতক্ষীরা দেবহাটা শাখা ব্রাক কর্মী মমতাজ, পিতা আব্দুল জলিল গ্রাম পুরাতন সাতক্ষীরা।এবং প্রেমিক মনিরুল ইসলাম গ্রাম মাহমুদপুর, সাতক্ষীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মোহাম্মদ জাকির হোসেন পিতা:আজীজার রহমান। গ্রাম ইটাগাছা ২০১২ সালে
স্ত্রী মমতাজ বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আব্ধ হয়। তাদের দুটি সন্তান ও আছে। ছেলের বয়স ১২ বছর ও কন্যার বয়স ৭ বছর। খুব ভালো ভাবেই চলছিল তাদের সংসার ।
২০১৯ সালে তার স্বামী ও শাশুড়ির যোগাযোগ এর মাধ্যমে ব্রাক এ অফিস সহযোগী পদে চাকরি হয়।চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার চলা ফেরা বদলে যাওয়া শুরু হতে থাকে। এবং সংসার জীবনে অশান্তি দেখা দেয়।বিভিন্ন সময় সে তার স্বামীকে নিয়ে মিত্থাচার শুরু করে। এবং চাকরি পাওয়ার পর থেকে সে তার নিজের ইচ্ছে মতো চলাফেরা করতে থাকে।স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে সে বিভিন্ন কাজের অজুহাত দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিকের সাথে দেখা করতো।
যখন স্বামী তার পরকীয়ার কথা জানতে পারে,তখন সে নিজের দোষ ঢেকে রাখার জন্য ২০২১ সালে স্বামীর নামে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।স্বামী জাকির হোসেন আজো এই মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার।
স্বামী জাকির বলেন, আমার স্ত্রী মমতাজ আমাকে
ডিভোস না দিয়ে, বিভিন্ন সময় সে তার দেবহাটা ভাড়া বাড়িতে অন্য পুরুষ দের সাথে থাকেন। আমি বার বার আমাদের সন্তান দের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপস মীমাংসার কথা বলি কিন্তু মমতাজ খাতুন কোনভাবেই আমার কথায় রাজি হয় না।
মমতাজ তার নিজের মত চলতে চাই। গত ১৭ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ৯ টার সময় তার প্রেমিক মনিরুল ইসলামের সাথে আপত্তি করা অবস্থায় স্থানীয় লোকদের কাছে ধরা পড়ে। এবং এ বিষয়ে যখন তার কাছে জিজ্ঞেস করা হয় এই ছেলে কে, তখন সে মনিরুল ইসলাম তার স্বামী পরিচয় দেয়। কিন্তু যখনই এলাকাবাসী তাদের বিয়ের কাগজ দেখাতে বলে তারা কিছু দেখাতে পারিনি। এসময় উত্তেজিত গ্রামবাসী গন পিটুনি দিয়ে সেখান থেকে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেয়।
স্বামী জাকির আরো বলেন,আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্বতি চাই আমি আগের মতো সুন্দরভাবে আরো দশ জন মানুষের মত শান্তিতে বসবাস করতে চাই। যাতে এই মিথ্যা মামলা থেকে আমি মুক্তি পেতে পারেন সেজন্য ঊর্ধ্ব কর্মকর্তাদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।এবং সেই সাথে আমার বাচ্চা দুইটা ফেরত চাই।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।