আমি যা- লিখি সরাসরি লিখি । পক্ষ-বিপক্ষ বুঝিনা । কারো বেজার কিংবা খুশীর জন্য নয় । সকলকেই বলছি- দল কানা না হয়ে, দেশ ও জাতির স্বার্থে কথা বলুন এবং কাজ করে যান । সেখানেই কল্যাণ নিহিত ।
আমরা যে অপদার্থের মতো কাজ করি, তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না । স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কী করে সম্ভব পরনির্ভরশীল হয়ে, নিজ দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের দিকে প্রবাহিত করা ।
যে আমেরিকা ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার কারণে, ত্রিশ লক্ষ লোক শহীদ হলো । দু’লক্ষাধিক মা-বোনেদের সন্মান হানি হলো । বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে ছারখার করা হলো এবং সম্পদ লুটপাট করা হলো । ৭৪-র চাউলের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে দূর্ভীক্ষের সৃষ্টি করা হলো ।
অথচ কতো বড় নিমক হারাম আমরা ! যারা মা-বোনেরদের ইজ্জত লুটলো-তাদেরকেই আহ্বান করছি, দেশ ও জাতির সুরক্ষার জন্য । কী আচানুক কথাবার্তা । ভাবতে অবাক লাগে ।
অনেক সময় লিখতে চাইনা । আবার না লিখেও পারিনা । কেনোনা সকল দল কানাদের জ্ঞানহীনতার অভাব পরিলক্ষিত হয় । তাই সঠিক ভাবে না পড়ে না বুঝে অপ-প্রচার করে যায় অহরহ ।
আমিতো মনে করি এরা ধর্মের প্রতি মনোযোগী নয় । কেনোনা আল্লাহ তাআলা মিথ্যাবাদিকে এবং বিশৃংখলা কারীকে ঘৃণা করেন । আসলে এরা কোন পথের পথিক এটা বিবেচনাধীন ।
আমেরিকায় বাংলাদেশী যারা বসবাস করেন, তারা প্রতি মাসে কতো টাকার দেশে পাঠান নাকি উল্টো দেশ থেকে টাকা নিয়ে যায় ? আমেরিকা নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বুঝে না ।
বিশ্বে যখন জঙ্গী শব্দ বন্ধ হয়েছে, তখন জঙ্গী দমনের কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না । যারফলে আমেরিকার ইসু চলে যাচ্ছে অন্যান্য দিকে । কী করে সম্ভব অন্য আরেকটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে । এটা কী “মঘের মুল্লুক” আমেরিকা যা বলবে তাই করতে হবে ?
এখন বামপন্থী লাল পতাকাধারিরা কোথায় ? তারা কি ভুলে গেছে স্বাধীনতার পরে, তাদের সেই জঘণ্য রাজনীতির কথা ? বিভিন্ন উগ্রবাদী শ্লোগানের কথা ? থানা লুট, ব্যাংক লুট, গুদামে আগুন ধরানো এবং গলা কেটে মানুষ হত্যার কথা ? এখন ওদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়ে সরকারি এবং বিভিন্ন দলে লেজুড়বৃত্তি করে বেড়াচ্ছে । যতোসব শয়তানদের দল ।
আমেরিকা যদি এতই ভালো কিংবা মানবতাদী হয়, তাহলে কালোবাজারি, অর্থলুটকারিদের অবৈধ অর্থ তাদের দেশে কী করে যায় এবং সেই সকল অপরাধীদের জেল-হাজত দিয়ে স্ব-স্ব দেশে অর্থ গুলো ফেরত পাঠায় না কেনো ? অথচ বিভিন্ন রাষ্ট্রের খুনি ও সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের মাধ্যমে বিশ্ব সন্ত্রাসীদের গড ফাদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ।
আসলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, বাপেরটা খাইয়া শশুর আর তালইর গীত গাই । যতোসব অপদার্থ আর নিরেট মূর্খের দল আমরা ।
আরে দেশে কোনো বণ্যা কিংবা মহামারিতে দূর্ভিক্ষের কারণে হাজার- হাজার লোক মারা যাচ্ছে না । যার জন্য সরকারকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে, এজন্য আমেরিকাকে ডাকতে হবে । আসলে এটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার । মনে হচ্ছে “খুটার জোরে ছাগল লাফানোর” মতো অবস্থা ।
আমার জরিপ মতে দেশে কোনো জিনিসের অভাব আছে বলে আমি মনে করিনা । তবে সততার খুবই অভাব এবং সুষ্ঠ নীতির ও অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ জরুরী বলে মনে করি ।
জিনিসপত্রের যেমন দাম বেড়েছে, তেমনি সরকারি-বেসরকারি প্রতি সেক্টরে বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা এবং ভাড়াও বেড়েছে । তবে কিছু মুনাফা লোভী রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আশায় ইচ্ছা মাফিক দাম বাড়িয়ে সাধারণ শ্রমজীবিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে । সার্বিক ভাবে বাজার দর নির্ধারণ করে দিয়ে, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে । যদি এক্ষেত্রে সরকার সুদৃষ্টি প্রয়োগ করে ।
তবে সব চাইতে রাষ্ট্রের বড় সমস্যা হচ্ছে, দূর্নীতি এবং অনিয়ম । দূর্নীতির ব্যাপারে সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক । এক্ষেত্রে দমন কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলে মনে করি ।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা এবং নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়া সত্ত্বেও এক শ্রেণীর সরকারি লোকজন সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানির মধ্যে ফেলে অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে বলে আমার ধারণা । এদের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ।
বর্তমানে সরকারের ভিতরে এবং বাহিরে ও প্রশাসনিক ভাবে বিভিন্ন দায়িত্বে যারা নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই বিগত দিনে সন্ত্রাসী মূলক কার্যক্রমে লিপ্ত ছিলেন । যেমন সিরাজ শিকদারের পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি, কাজী জাফরের ইউনাইটেড পিপলস পার্টি, তোহা খানের সাম্যবাদী দল, জাসদসহ অন্যান্য কমিউনিস্ট পার্টির লোকজন ।
অন্যদিকে আরেক শ্রেণীর লোকজন স্বাধীন দেশে রাজনীতি করে আরেক দেশের শ্লোগান দেয় । তারা সত্যকে স্বীকার না করে, মিথ্যার খেসারতি গেয়ে বিলাপ করে অহরহ । এরা সত্যকে স্বীকার না করে, পক্ষান্তরে আল্লাহর সঙ্গেই ধোঁকাবাজি করে বলে আমি মনে করি ।
নানা জরিপ মতে এক শ্রেণীর লোকজনের কার্যকলাপে প্রতীয়মান হয় যে, মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক আদর্শবান লোকদের সরানোর জন্য তারা নানা ফন্দি করে, বঙ্গবন্ধু সহ বিভিন্ন অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । কেনোনা স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন হলে, আমেরিকা সহ তাদের মুখে চুনকালির লেপন পরবে । তাই তারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা মেনে নিতে পারছেনা বলে আমার ধারণা । সেক্ষেত্রে দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন না করে, সরকার হটানোর আন্দোলন করছে বলে প্রতীয়মান হয় ।
আর কতো আসুন । সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি । সকলের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিবেদন করি । আল্লাহ আমাদের সহায় হোন ।