শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৩৪৭বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক  বোয়ালখালীতে মদ বিক্রেতা আটক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ পঞ্চগড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে এক মাসের আল্টিমেটাম শীতের শুরুতেই ব্যস্ততা বেড়েছে চারঘাটের লেপ-তোষক কারিগরদের বোয়ালখালীতে তেল চুরি ৩ জন আটক সাতক্ষীরার নিখোঁজের তিনদিন পর বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদকসহ একজন গ্রেফতার রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি মুছা, বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ন সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি শাহ আলম,সম্পাদক এমদাদুল

আমরা আসলে বড়ই “নিমক হারাম”

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২০৬ বার পঠিত
mde

আমরা আসলে বড়ই “নিমক হারাম”
কবি ও সাহিত্যিক, রফিকুল ইসলাম (ভুলু)

আমি যা- লিখি সরাসরি লিখি । পক্ষ-বিপক্ষ বুঝিনা । কারো বেজার কিংবা খুশীর জন্য নয় । সকলকেই বলছি- দল কানা না হয়ে, দেশ ও জাতির স্বার্থে কথা বলুন এবং কাজ করে যান । সেখানেই কল্যাণ নিহিত ।

আমরা যে অপদার্থের মতো কাজ করি, তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না । স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কী করে সম্ভব পরনির্ভরশীল হয়ে, নিজ দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের দিকে প্রবাহিত করা ।

যে আমেরিকা ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার কারণে, ত্রিশ লক্ষ লোক শহীদ হলো । দু’লক্ষাধিক মা-বোনেদের সন্মান হানি হলো । বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে ছারখার করা হলো এবং সম্পদ লুটপাট করা হলো । ৭৪-র চাউলের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে দূর্ভীক্ষের সৃষ্টি করা হলো ।

অথচ কতো বড় নিমক হারাম আমরা ! যারা মা-বোনেরদের ইজ্জত লুটলো-তাদেরকেই আহ্বান করছি, দেশ ও জাতির সুরক্ষার জন্য । কী আচানুক কথাবার্তা । ভাবতে অবাক লাগে ।

অনেক সময় লিখতে চাইনা । আবার না লিখেও পারিনা । কেনোনা সকল দল কানাদের জ্ঞানহীনতার অভাব পরিলক্ষিত হয় । তাই সঠিক ভাবে না পড়ে না বুঝে অপ-প্রচার করে যায় অহরহ ।

আমিতো মনে করি এরা ধর্মের প্রতি মনোযোগী নয় । কেনোনা আল্লাহ তাআলা মিথ্যাবাদিকে এবং বিশৃংখলা কারীকে ঘৃণা করেন । আসলে এরা কোন পথের পথিক এটা বিবেচনাধীন ।

আমেরিকায় বাংলাদেশী যারা বসবাস করেন, তারা প্রতি মাসে কতো টাকার দেশে পাঠান নাকি উল্টো দেশ থেকে টাকা নিয়ে যায় ? আমেরিকা নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বুঝে না ।

বিশ্বে যখন জঙ্গী শব্দ বন্ধ হয়েছে, তখন জঙ্গী দমনের কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না । যারফলে আমেরিকার ইসু চলে যাচ্ছে অন্যান্য দিকে । কী করে সম্ভব অন্য আরেকটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে । এটা কী “মঘের মুল্লুক” আমেরিকা যা বলবে তাই করতে হবে ?

এখন বামপন্থী লাল পতাকাধারিরা কোথায় ? তারা কি ভুলে গেছে স্বাধীনতার পরে, তাদের সেই জঘণ্য রাজনীতির কথা ? বিভিন্ন উগ্রবাদী শ্লোগানের কথা ? থানা লুট, ব্যাংক লুট, গুদামে আগুন ধরানো এবং গলা কেটে মানুষ হত্যার কথা ? এখন ওদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়ে সরকারি এবং বিভিন্ন দলে লেজুড়বৃত্তি করে বেড়াচ্ছে । যতোসব শয়তানদের দল ।

আমেরিকা যদি এতই ভালো কিংবা মানবতাদী হয়, তাহলে কালোবাজারি, অর্থলুটকারিদের অবৈধ অর্থ তাদের দেশে কী করে যায় এবং সেই সকল অপরাধীদের জেল-হাজত দিয়ে স্ব-স্ব দেশে অর্থ গুলো ফেরত পাঠায় না কেনো ? অথচ বিভিন্ন রাষ্ট্রের খুনি ও সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের মাধ্যমে বিশ্ব সন্ত্রাসীদের গড ফাদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ।

আসলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, বাপেরটা খাইয়া শশুর আর তালইর গীত গাই । যতোসব অপদার্থ আর নিরেট মূর্খের দল আমরা ।

আরে দেশে কোনো বণ্যা কিংবা মহামারিতে দূর্ভিক্ষের কারণে হাজার- হাজার লোক মারা যাচ্ছে না । যার জন্য সরকারকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে, এজন্য আমেরিকাকে ডাকতে হবে । আসলে এটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার । মনে হচ্ছে “খুটার জোরে ছাগল লাফানোর” মতো অবস্থা ।

আমার জরিপ মতে দেশে কোনো জিনিসের অভাব আছে বলে আমি মনে করিনা । তবে সততার খুবই অভাব এবং সুষ্ঠ নীতির ও অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ জরুরী বলে মনে করি ।

জিনিসপত্রের যেমন দাম বেড়েছে, তেমনি সরকারি-বেসরকারি প্রতি সেক্টরে বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা এবং ভাড়াও বেড়েছে । তবে কিছু মুনাফা লোভী রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আশায় ইচ্ছা মাফিক দাম বাড়িয়ে সাধারণ শ্রমজীবিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে । সার্বিক ভাবে বাজার দর নির্ধারণ করে দিয়ে, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে । যদি এক্ষেত্রে সরকার সুদৃষ্টি প্রয়োগ করে ।

তবে সব চাইতে রাষ্ট্রের বড় সমস্যা হচ্ছে, দূর্নীতি এবং অনিয়ম । দূর্নীতির ব্যাপারে সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক । এক্ষেত্রে দমন কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলে মনে করি ।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা এবং নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়া সত্ত্বেও এক শ্রেণীর সরকারি লোকজন সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানির মধ্যে ফেলে অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে বলে আমার ধারণা । এদের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ।

বর্তমানে সরকারের ভিতরে এবং বাহিরে ও প্রশাসনিক ভাবে বিভিন্ন দায়িত্বে যারা নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই বিগত দিনে সন্ত্রাসী মূলক কার্যক্রমে লিপ্ত ছিলেন । যেমন সিরাজ শিকদারের পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি, কাজী জাফরের ইউনাইটেড পিপলস পার্টি, তোহা খানের সাম্যবাদী দল, জাসদসহ অন্যান্য কমিউনিস্ট পার্টির লোকজন ।

অন্যদিকে আরেক শ্রেণীর লোকজন স্বাধীন দেশে রাজনীতি করে আরেক দেশের শ্লোগান দেয় । তারা সত্যকে স্বীকার না করে, মিথ্যার খেসারতি গেয়ে বিলাপ করে অহরহ । এরা সত্যকে স্বীকার না করে, পক্ষান্তরে আল্লাহর সঙ্গেই ধোঁকাবাজি করে বলে আমি মনে করি ।
নানা জরিপ মতে এক শ্রেণীর লোকজনের কার্যকলাপে প্রতীয়মান হয় যে, মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক আদর্শবান লোকদের সরানোর জন্য তারা নানা ফন্দি করে, বঙ্গবন্ধু সহ বিভিন্ন অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । কেনোনা স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন হলে, আমেরিকা সহ তাদের মুখে চুনকালির লেপন পরবে । তাই তারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা মেনে নিতে পারছেনা বলে আমার ধারণা । সেক্ষেত্রে দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন না করে, সরকার হটানোর আন্দোলন করছে বলে প্রতীয়মান হয় ।

আর কতো আসুন । সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, দেশ‌ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি । সকলের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিবেদন করি । আল্লাহ আমাদের সহায় হোন ।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।