‘আর মাত্র কয়েক দিন আছে, কেউ তো ভোডই চাইলো না’
রিপোর্টার নামঃ
-
আপডেট সময়
শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
৯৬
বার পঠিত
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
‘আর মাত্র কয়েক দিন আছে, কেউ তো ভোডই চাইলো না’
‘খালি হুনি আপনের ভোট আপনে দেইন, যারে খুশি তারে দেইন। কিন্তুক আমি ভোট দিলেই কী, না দিলেই কী। কেউ তো খবরও লয় না। এই যে আর মাত্র কয়েক দিন আছে, কেউ তো ভোডই চাইলো না।এর পরও একজন পাস করব। আর আমরা তো এমনই আছি। ৩০-৪০ বছর আগে যে রহম আছলাম অহনো হেই রহমই আছি। বরঞ্চ আগে ২০-৫০ টেহার বাজার-সদাই করলে দুই-এক দিন খাওনযাইতো।
অহন তো তাও যায় না’—গত বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা নতুন বাজার এলাকায় কলেজ গেটের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন আব্দুস ছাত্তার নামের এক ব্যক্তি। সামনে এমপি নির্বাচন, ভোট দিতে যাবেন না—এমন প্রশ্ন করলে তিনি কিছুটা হতাশা নিয়ে এভাবেই ওপরের কথাগুলো বলেন।
ছাত্তারের বাড়ি উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামে। মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে তিনি।এক মেয়ে ও দুই ছেলে। ঘরে স্ত্রী অসুস্থ। তা ছাড়া প্রায় ২৫ বছর বয়সের বড় ছেলে প্রতিবন্ধী। নিজের জমিজমা বলতে কিছুই নেই। প্রায় ১০ বছর আগে পরের জমিতে হালচাষ করে সংসার চালাতেন।
কিন্তু নিজের একটা বড় অসুখ হওয়ায় এখন আর ভারী কাজ করতে পারেন না। একটি দুই চাকার ভ্যান তৈরি করে শুরু করেন ঝালমুড়ির ব্যবসা। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই এখন সংসার চলে।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। কত টাকার মাল আছে আর কত টাকাই বা বিক্রি হয় জানতে চাইলে ছাত্তার বলেন, ‘এইহানো ৫০০-৭০০ টেহার মাল আছে। সারা দিনে বেশি বেচলে ৫০০ টেহা বেচি। খরচ বাদ দিয়া শতেক টেহা থাহে। কিন্তু খরচ তো অনেক বেশি। চলাইতাম পারি না। এর লাইগ্যা কাস্টমার বেশি আয়ে না। তয় কয়েক দিন আগে ইসকুলের কয়জন ছাত্রী কানের একটা মেশিন কিইন্যা দিছে।’
সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন
আরো জনপ্রিয় সংবাদ