আহসান উল্লাহ বাবলু সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি নদী খননের কারনে ভেঙ্গে পড়ে জন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
সোমবার গভীর রাতের কোন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ব্রীজের পাশ্ববর্তী মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে এসে মুসল্লিরা ব্রীজ ভেঙে পড়ার বিষয়টি দেখতে পায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কি-না সেটা স্থানীয় বা মসজিদের মুসল্লিরা কেউই বলতে পারেননি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মরিচ্চাপ নদী খননের কারনে খননকৃত নদীর প্রস্থের তুলনায় ব্রীজটির দৈর্ঘ্য সামান্য কম হওয়ায় বেশ কিছু দিন থেকে ব্রীজটি কিছুটা দূর্বল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। দূর্বল হয়ে পড়লেও নব নির্মিত এ ব্রীজের উপর দিয়ে ছোট-বড়, হালকা ও ভারী সব ধরনের যান চলাচল করতো। ব্রীজের মাঝের অংশ ডেবে গিয়ে এবং দু’ধারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ব্রীজটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজটি যে কোন মূহুর্তে সম্পূর্ণ ভেঙে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা। অনুরুপ ভাবে কামালকাটি (শালখালী বাজারস্থ) ব্রীজটি বছর খানেক পূর্বে এবং সম্প্রতি বাঁকড়া ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ এ এলাকায় চলাচলরত সকল ধরনের যানবাহন ও পথচারী। পাইথালী টু কালিবাড়ি বাজার সড়কের বেহাল দশা, কামলকাটি ব্রীজ এবং সর্বশেষ বাঁকড়া ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় এ অঞ্চালে মাঝারী বা ভারী যানবাহনের যাতায়াতের আর কোন উপায় বাকি রইল না। এছাড়া গোড়া কামালকাটি ব্রীজ পার হয়ে ওয়াবদা রাস্তা কাঁচা থাকায় কুন্দুড়িয়া পি এন মিধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা প্রতিষ্ঠানটির কামালকাটি ও বাঁকড়াসহ এ অঞ্চালের শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম বিপাকে। পথচারী ও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কামালকাটি জোয়ারদা নদী খননের এক অংশের ভেড়িবাঁধ ছেড়ে দেওয়ায় পানির স্রোতে ব্রীজের নিচের বালি মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটির মাজা ঢসে পড়ে।
এমতাবস্থায় নতুন ব্রীজ নির্মাণ যেহেতু সময়ের ব্যাপার সেহেতু ছোট যানবাহন গুলো চলাচলের বিকল্প পথ বের না করতে পারলে অসহায়ত্বের মধ্যে দিন যাপন করতে হবে এ এলাকার জনসাধারণের। বড় কোন দূর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় এখানে যতদ্রুত সম্ভব কাঠ অথবা বাঁশের সেতু তৈরির জন্য উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।