আহসান উল্লাহ বাবলু সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার (১৪ আগষ্ট) ভোর রাত থেকে আশাশুনি উপজেলায় হালকা ঝড়ো হাওয়া ও একটাকা বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। নদীর পানিতে স্বারভাবিকের চেয়ে বেশ বড় ঢেউ দেখা যাচ্ছে। উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা ও আশাশুনি সদরের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা বাঁধ নিয়ে এলাকার মানুষের মনে শঙ্কা বিরাজ করছে। এছাড়া বুধহাটা, বড়দল ও কুল্যা ইউনিয়নের কিছু স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে।
রবিবার সকালে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ তালুকদার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ- সোনাতনকাটি, শ্রীপুর কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চ ঘাটের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে, মাদার বাড়িয়া, ঝাপালি, বন্যতলা ক্লোজারের পশ্চিম অংশের অবস্থা সরেজমিন দেখতে যান। এসব স্থানে বাঁধের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁধ রক্ষায় জরম্নরী কাজ হবে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, পাউবো-১ ও ২ এর আওতায় ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূল জুড়ে থাকা ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। পাউবো-২ এর আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪০০ কিলোমটিার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। এবং পাউবো-১ এর আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৪২ কিলোমিটার।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন জানান, কুড়িকাহুনিয়া, শ্রীপুর, রম্নইয়ার বিল, সুভদ্রাকাটি, সনাতন কাটি, হরিশখালি, বন্যা তলা সহ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির পেয়েছে, যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙ্গে ইউনিয়ন আবারও তলিয়ে যেতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী জানান, সরকারি ভাবে বেড়ী বাঁধের জন্য কাজ করা হলেও এখনো কিছু স্থানে খুবই ঝুঁকি বিরাজ করছে। আমরা বারবার কাজ এগিয়ে নিতে তাগাদা দিলেও সম্ভব হয়নি। দ্রম্নত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে চলিতি বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমে পুনরায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নানা শঙ্কায় ইউনিয়নের ৩৬ হাজার মানুষ দুশ্চিন্ত্মায় রয়েছে।