সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আশাশুনি উপজলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা কোলা ভেড়িবাঁধের কাজ যেন তেন ভাবে করে ৮ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য কৌষিকে কাইফুর বিরুদ্ধে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ১২০মিটার ঝুকিপূর্ন ভেড়িবাঁধের জন্য এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পানি উনয়ন বোর্ড কাজটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার দিকে না গিয়ে অবৈধভাবে তৌষিকে কাইফুর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন এলাকাবাসীর প্রশ্ন টেন্ডার ছাড়া সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা একজন সাধারন পাবলিকের হাতে কিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে? এ দিকে কাইফু কাজটি পেয়ে গত ৫মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যাবদি কাজের কোন অগ্রগতি হয়নি। তিনি যেমন তেমন ভাবে আংশিক কাজ করে বিল উত্তোলনের জন্য পানি উন্নয়ন বাের্ডের দরজায় প্রতিদিন কড়া নাড়ছে। এর ফলে এলাকার সকল শ্রেণি পশার মানুষ ভাঙ্গনের আশাংকায় উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন অতিবাহিত করছে। এ ছাড়া যেকোনো মুহুর্তে ভেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তর্ন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। গত আম্পান পরবর্তি সময়ে একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির নাম ভাঙ্গিয়ে কোলা, হরিষখালী, চাকলা, বিছট, রুইয়ারবিলসহ উপজেলার সকল বেড়িবাঁধের ঠিকাদার পানি উন্নয়ন বার্ডের একাধিক কর্মকর্তার নিকট থেকে বড় ধরনের অর্থ আদায় করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য তৌষিকে কাইফু। সরেজমিনে কোলা গ্রামের হাবিবুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান। গত পূর্ণিমার গোনে কাজ না করা ওই বেরিবাঁধ ভেঙে ভেঙ্গে এলাকায় পানি প্রবেশ করেছিল। তখন স্থানীয় মানুষ স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মান করে প্রাথমিকভাবে ভেড়িবাঁধ আটকাতে সক্ষম হয়। তিনি আরও বলেন, আগামী অমাবস্যা গোনের আগে বাঁধটির নির্মান কাজ না হলে প্রতাপনগর, শ্রীউলা এবং আশাশুনি সদর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ঠিকাদার ছাড়া কিভাবে কাজ দিলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দায়িত্ব প্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বাের্ডের কর্মকর্তা রাব্বি হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, উপর মহলের নির্দেশে কাইফুকে ২০২২ সালের মার্চ মাসে অর্থাৎ ৫ মাস আগে এ কাজটি দেওয়া হয়েছে। শুনেছি গত গোনে ওই ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। তিনি আরো বলেন আমরা বারবার তাগের দেয়ার পরেও কাইফু কাজ করছে না। কিন্তু ১৫ দিন পার হলেও বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে পুনঃরায় কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আগামী ২৫ তারিখ সোমবার কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।