মহসিন পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর নাগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা, এলাকার পরিচিত অত্যাচারি ভূমিদস্যু ও চিহ্নিত মামলাবাজ মৃত সুরুজ মিয়ার পুত্র খোরশিদ ও তার ভাই মোশারফ আলমের টার্গেট এবার পুলিশ সুপার ও তার সহোদর পুলিশ পরিদর্শক এবং তার পরিবার। গ্রামের চিহ্নিত আতংক মামলাবাজ এই দুই ভাই তারা তাদের বাবা ও দাদার দেখানো পথ ধরে রেখেছে ঠিক যেমন করে তাদের বাপ দাদার মত।তাদের বাবা ও দাদা যেভাবে এলাকায় অন্যের জমি দখল, মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা ও মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ দিয়ে স্থানীয় নিরীহদের হয়রানি, রাস্তাঘাটে গুন্ডামি মস্তানি, তাদের কথা না শুনলে স্থানীয়ভাবে দেন-দরবার করে সামাজিকভাবে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি সাধনে তারা যেন তাদের বাপ-দাদাদের থেকেও কয়েক ধাপ এগিয়ে। সম্প্রতি তাদের নজর পড়ে এলাকার নম্র ভদ্র পরিবার হিসাবে গ্রামে যাদের সুনাম আছে স্থানীয় বাসিন্দা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানের পুত্রদ্বয়। ওয়ারেন্ট মাস্টার খ্যাত জয়পুরহাট জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার যিনি সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন, জনাব নূরে আলম ও তার ছোট ভাই ঢাকায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক জনাব সারে আলম ও তার পরিবারের উপরে তাদের কুনজর পড়ে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, খোরশিদ আলম ও তার ভাই মোশারফের পরিবার বংশপরম্পরায় শত বছর ধরে এলাকার কুখ্যাত মামলাবাজ অত্যাচারী জুলুমবাজ ও ভূমিদস্যুতায় তাদের কুখ্যাতি রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও স্বীয় যোগ্যতায় তিনি যেমন প্রতিষ্ঠিত ও সুনামধন্য , তিনি তার সন্তানদের ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও দেশ সেবায় নিয়োজিত করে গেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেক যেভাবে উৎসর্গ করেছিলেন।তিনি তার ছেলে মেয়েদের মানুষ করে গেছেন মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা এবং অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার শিক্ষা দিয়ে।

অপর দিকে পারিবারিক সূত্রে দ্বন্দ্ব ও হিংসা- বিদ্বেষ অব্যাহত রাখতে পুলিশ সুপার নূরে আলম ও উনার ছোট ভাই পুলিশ পরিদর্শক সারে আলম হয়রানি করতে উঠেপড়ে কোমর বেঁধে লেগে পড়ে সোহাগপুর তথা আশুগঞ্জের আতংক মামলাবাজ দুই ভাই খোরশিদ ও মোশাররফ।

তারা তাদের অপকর্মের ধারাবাহিকতায় হয়রানির উদ্দেশ্যে উপরোক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানান মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য দিয়ে অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তদন্ত করে কোন সত্যতা পায়নি সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাগণ। পরবর্তীতে খোরশিদ উপরোক্ত তদন্তে মানহানি ও হয়রানির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আবার ও হয়রানীর উদ্দেশ্যে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে পুনরায় তদন্তের দাবি করেন।

এলাকাবাসী জানায়, মৃত সুরুজ মিয়া ও তাদের পূর্ব পুরুষ এবং তার সন্তানেরা খোরশিদ আলম ও মোশারফ আলম ওয়ারিশ সুত্রে এলাকায় অত্যাচারী মামলাবাজ লোক হিসেবে কুখ্যাত। জীবদ্দশায় প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান তাদের পরিবারের এই ধরনের কর্মকান্ডের প্রতিবাদী ছিলেন।তাই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে চাকরি থেকে হটাতে হাইকোর্টে রীট পর্যন্ত করেছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।অনেকেই মনে করেন সুনামধন্য পুলিশ সুপার ও তার সহোদর পুলিশ অফিসার কে সামাজিকভাবে হ্যায় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে হচ্ছে এই অত্যাচারী দুই ভাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ ও আদালতে রিট করে বলে জানিয়েছেন এলাকার জনগণ।