মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত ও বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ প্রকল্পকে সৃজনশীল মেধাকর্মের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। আশ্রয়ণঃ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল, নামে সৃজনশীল মেধাকর্ম হিসেবে এর স্বত্ত্বাধিকার দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ১০ এপ্রিল ২০২৩, এ সংক্রান্ত সনদ প্রদান করে। এতে সৃজনশীল কর্মের প্রণেতা (স্বত্বের অংশ) হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’ এবং সৃজনশীল কর্মের স্বত্বাধিকারী (স্বত্বের অংশ) হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’ নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই সনদের মেয়াদকাল ৬০ বছর। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকেই জাতির পিতার জনবান্ধব কর্মসূচিগুলোর পাশাপাশি ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের জন্য টেকসই পুনর্বাসন কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ছিন্নমূল মানুষের ভাগ্যাকাশে আশার আলো দেখা যায় ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর। অসহায় গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তাঁর নির্দেশনায় ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ’আশ্রয়ণ’ নামক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। শুরু হয় ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষকে জমিসহ বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ। বাংলাদেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে তিনি ১৯৯৭ সাল এখন পর্যন্ত থেকে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার প্রকল্প গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তিনবারসহ তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের চার মেয়াদে ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ সেমিপাকা ঘর হস্তান্তর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত হস্তান্তর করা দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮৩১টি ঘর।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি ধারণা তৈরি করতে হয়েছে। এই ধারণাটিরই একটি শিরোনাম দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ণ : অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল। প্রধানমন্ত্রীর এই ধারণাকে সৃজনশীল কর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। অভিনন্দন বঙ্গবন্ধুকন্যা।