বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য
আহাদুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে অহিদ মল্লিক নামে এক শারিরীক প্রতিবন্দী ও তার
ভাই ও বোনের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার
(৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হামলায় আহত শারিরীক প্রতিবন্দী অহিদ মল্লিক ও তার
ভাগ্নে ইমলাদ গাজী উপস্থিত ছিলেন। অহিদ মল্লিক মোংলা উপজেলার সুন্দরবন
ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের বারিক মল্লিকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে অহিদ মল্লিক বলেন, সুন্দরবন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি
সদস্য আহাদুজ্জামান খান গত ২৩ জানুয়ারি আমার মৎস্য ঘের থেকে ড্রেজার
দিয়ে জোরপূর্বক বালি উত্তোলন শুরু। আমি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু
উত্তোলন বন্ধ করতে অনুরোধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য আহাদুজ্জামান খান
নিজে দাড়িয়ে থেকে তার লোকজনদের দ্বারা আমার উপর হামলা করতে বলে। আমার
ডাক-চিৎকারে আমার ছোট ভাই রুহুল মল্লিক ও আমার চাচাতো বোন রোবেদা
বেগম আমাকে উদ্ধার করতে আসে। এ সময় তারা আমাদের তিনজনকে
এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে । তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের
দুই ভাইয়ের দুটি পা ভেঙে যায় এবং তারা আমার চাচাতো বোনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত
জখম করে। পরবর্তীতে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে মোংলা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে একদিন পর খুলনা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। এখানো আমার ছোট
ভাই এবং চাচাতো বোন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
অহিদ মল্লিক আরো বলেন, হামলার ঘটনায় মোংলা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ
মূল সন্ত্রাসী আহাদুজ্জামানকে বাদ দিয়ে মামলা করতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায়
পুলিশ আমার মামলা গ্রহণ করেনি। আহাদুজ্জামান মামলাবাজ,ভুমিদস্যু, মাদকের
ব্যবসার সাথে জড়িত। সে অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় এখন আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো
মামলা করে আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এই ইউপি সদস্যর
হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, হামলার
ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি সঠিক