আকাশ সাহাঃ ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব ফরিদপুর এর ৫ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি অসচ্ছল পরিবারের পাশে ইয়ামাহা রাইডারস ক্লাব ফরিদপুর। উক্ত ক্লাবটির সদস্যদের উদ্যোগে এবং মেসার্স জান্নাত মটরর্স ফরিদপুরের সহযোগিতায় ফরিদপুর সদর থেকে আনুমানিক ২৫ কিলোমিটার দূরে লক্ষীকুল গ্রামের একটি অসহায় পরিবারকে দোকানের মালামাল তুলে দেওয়া হয়। এর পূর্বেও তারা তাদের ৪র্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আগেও একটি দোকান করে দেন পঙ্গুত্ব বরণ করা এক অসহায় ব্যক্তিকে। এই পরিবারটির অসচ্ছলতা এবং দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস সম্পর্কে যখন ইয়ামাহা রাইডারস ক্লাব ফরিদপুর এর মেম্বাররা জানতে পারেন তখনই তারা নিজেরা সরেজমিনে দেখে আসেন এবং খোজ খবর নেন আশে পাশে। সত্যতা জানার পরে সিদ্ধান্ত নেয়, এই অসহায় পরিবারের জন্য ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব পরিবার কিছু করবে,তাদের পাশে থাকবে।
তারই সুবাদে শুক্রবার (১০ অক্টোবর ) সকালে ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের সদস্যরা এই অসহায় পরিবারকে নতুন আশার আলো জাগিয়ে তোলার জন্য তাদের করুন অবস্থার সময়গুলো থেকে দ্রুত নিস্তার লাভ পাবে সেই আশায় উক্ত ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ❝সততা স্টোর❞ নামে একটি দোকান উপহার দেন।
উপহারটি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, ইয়ামাহা মোটরসাইকেল বাংলাদেশ- এসিআই মটরস লিমিটেড এর টেরিটরি ম্যানেজার আশিকুল ইসলাম ইমন, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার, নাহিদ হোসেন, মার্কেটিং অফিসার রেশাদ, ক্লাবের এডমিন সোহান মিয়া, সিনিয়র কনসাল্টেন্ট দিদারুল ইসলাম দিদার, মডারেটর মো: বিল্লাল হোসেন,আতিক ফয়সাল, এনামুল মোড়াল, সাইমুন ইসলাম অয়ন,তোহাব ইসলামসহ গ্রুপের সিনিয়র জুনিয়র সদস্যবৃন্দ।
ইয়ামাহা মোটরসাইকেল বাংলাদেশ- এসিআই মটরস লিমিটেড এর টেরিটরি ম্যানেজার আশিকুল ইসলাম ইমন বলেন, এমন সুন্দর একটা কার্যক্রমে আমি থাকতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাদের মাধ্যমে এমন অনেক গুলো পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে,আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব ফরিদপুরের এডমিন সোহান মিয়া বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য একটি অসহায় পরিবারের পাশে থাকা। আপনারা এর আগেও দেখেছেন দেশের যে কোনো দুর্যোগ থেকে শুরু করে সামাজিক কর্মকাণ্ড করে আমরা দেশ ও দশের পাশে থাকতে চাই। আমরা চাই আমাদের মতো আরও অনেকে এগিয়ে আসুক অসচ্ছল অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করুক এবং এইভাবেই যুবসমাজের প্রচেষ্টায় আমরা সুন্দর একটি দেশ গড়ে তোলার অংশ হতে চাই।
ক্লাবটির সিনিয়র কনসাল্টেন্ট এবং এই সম্পূর্ণ কাজটির ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম দিদার বলেন, স্বপ্ন সবাই দেখে কিন্তু সবাই স্বপ্ন পূরত করতে পারে না তাই আমাদের ছোট চেষ্টা ছিলো তাদের স্বপ্নের পাশে একটু দাড়ানো, ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে নতুন কারো স্বপ্নের গল্প নিয়ে আসবো আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।