মাসুমা জাহান, বরিশাল ব্যুরোঃ
ঈদুল আজহার আগেই কচুয়া-বেতাগী নৌপথে ফেরি চলাচল উদ্বোধন করা হবে। এরই মধ্যে বিষখালী নদীর দুই পাড়ে বরগুনার বেতাগী ও ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার কচুয়া গ্যাংওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফেরিও পৌঁছে গেছে ঘাটে। গ্যাংওয়ের কাজ শেষ হলেই ফেরিটি উদ্বোধন করা হবে।
ফেরি চালু হলে এই এলাকার যাত্রীরা খুব সহজেই পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বরগুনা, বেতাগী, কাঁঠালিয়া, রাজাপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, বেকুটিয়া, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন।
জানা গেছে, ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের অধীনে কাঁঠালিয়ার বীণাপানি, কচুয়া, বেতাগী, মির্জাগঞ্জ হয়ে পটুয়াখালী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার নৌপথে এ ফেরি চলাচল করবে। গত ৩১ মে এই নৌপথে যানবাহনের টোলের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রেইলার ২৫০ টাকা, হেভি ট্রাক ২০০, মাঝারি ট্রাক ১০০, বড় বাস ৯০, মিনি ট্রাক ৭৫, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যানবাহন ৬০, মিনিবাস-কোস্টার ৫০, মাইক্রোবাস ৪০, ফোর হুইল যানবাহন ৪০, সিডান কার ২৫ এবং ৩-৪ চাকার মোটরাইজড যান ১০ ও মোটরসাইকেল/সাইকেল/রিকশা/ভ্যান পারাপারে পাঁচ টাকা হারে টোল দিতে হবে।
বেতাগী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. মহসীন খান বলেন, আমার বাড়ি কাঁঠালিয়ায় হলেও আমি বেতাগী স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকরি করি। তাই প্রতিদিনই বিষখালী নদী পার হয়ে বেতাগী যেতে হয়। এখন ফেরি হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হবে।
পশ্চিম ছিটকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, কাঁঠালিয়ার পশ্চিম ছিটকী স্কুল অ্যান্ড কলেজে যেতে আমাকে প্রতিদিন কচুয়া খেয়া পার হতে হয়। অনেক সময় খেয়ার জন্য সঠিক সময় কলেজে যেতে পারি না। এখন এখানে ফেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময় কলেজে যেতে পারবো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ বলেন, পাশের উপজেলা বেতাগীর সঙ্গে কচুয়ার যোগাযোগের একমাত্র উপায় খেয়া পারাপার। এখন ফেরি সার্ভিস চালু হলে খুব সহজেই কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র, আমতলী, বরগুনা জেলাসহ বিভিন্ন নৌপথে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে এ অঞ্চলের মানুষ।
শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, শৌলজালিয়ার কচুয়া ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তবে বেতাগী অংশের গ্যাংওয়ের কাজ বাকি আছে। বেতাগী অংশে গ্যাংওয়ের কাজ শেষ হলেই ফেরি চলাচল শুরু হবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, কচুয়া-বেতাগীতে ফেরি চলাচলের জন্য এরই মধ্যে ফেরি ও ফেরি চলাচলের গ্যাংওয়ে ঘাটে চলে এসেছে। কচুয়া অংশে ফেরির গ্যাংওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তবে বেতাগী অংশের গ্যাংওয়ের কাজ বাকি আছে। আশা করি, ঈদের আগেই এই নৌপথে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে।