রায়হান সরদার,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, তাই ঈদে নতুন জামা কাপড় থাকবেনা তাকি হয়। পবিত্র ঈদ উল ফিতর কে সামনে রেখে নতুন জামা কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে শাখারী বাজার, সিপাহি পাড়া , রামশিং, রামপাল এর দর্জি কারিগররা। তাদের হাতে যেন মোটেও সময় নেই, কেননা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে। ক্রেতা দের পছন্দের পোশাক তৈরি করে বিক্রি করতে হবে পাইকারী মার্কেটে। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে প্রায় এক হাজারের বেশী শিল্প কারখানা। এই শিল্প কারখানা গুলিতে রয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার কর্মি।
চলছে দিন রাত কারীগরদের মেশিন এর খুঠখাঠ শব্দ
কেউ করছে সেলাই কাজ কেউ করছে কাটিং কেউ বা করছে পেকেটিং পুতি, পাত্তি, ফুল লাগানোর কাজে ও ব্যস্ত সময় পার করছে ।
সকাল ০৮.০০ টা থেকে রাত ০১.০০ টা পর্জন্ত কাজ করে যাচ্ছে মো: সাইফুল বলে, কখনো কখনো আরো বেশি সময় কাজ করে যাই তাতে আমাদের কোন কষ্ট হয়না। কারন সারা বছরের চেয়ে এই সময়টাতে মজুরী ভালো পাই।কাজ করতে উত্সাহিত হই, আমাদের কাজে মহাজন খুসি আমরা শ্রমিকরাও খুসি।
এবিষয়ে গার্মেন্টস মালিক মো: মিজান বলেন আমাদের মুন্সিগঞ্জ গার্মেন্টস মালিক গুলি অনেকেই ভালো আছে, সারা বছর ব্যবসা করে কখনো লাভ হয়, কখনো লছ হয় কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে দুইমাস সকলেই লাভ করে থাকে । সকল মালিকরা এই সময়ের আসায় থাকে। ঈদ কে সামনে রেখে কিছু লাভের আসায় থাকে। সকলেই রুচি সম্মত বাহারী ডিজাইনের পোশাক তৈরি করে তাও কম খরচে। আমাদের তৈরি পোশাক গুলী সারা দেশে বেপক চাহিদা রয়েছে, এই পোশাক গুলি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ পাইকারী বিক্রি করে থাকি । সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন ইস্তানে চলে যায়। এমন কি বিদেশে ও আমাদের তৈরি পোশাক পাঠানো হয়।যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহায়তা পাই তাহলে আমরাও দেশের অর্থনিতিতে অবদান রাখতে পারবো।
এই বিষয়ে উপ-ব্যবস্থাপক মো: আব্দুল্লাহ বলেন আমরা আসে পাশে সকল উদ্যোক্তাকে, প্রশিক্ষণ দেই বিশেষ করে ছোট ছোট শিল্প কারখানা গুলিতে নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ প্রদান করে থাকি। যেমন শাঁখারী বাজার, সিপাহি পাড়া, মুক্তার পুর, বিভিন্ন গ্রামে দিয়েছি।
আগামীতে আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।