সবুজ শিকদার,জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাটঃ
নাড়ির টানে বাড়ির পথ ধরেছে লাখো মানুষ। মঙ্গলবার (২৭ জুন) ছুটির দিনে সকাল থেকেই বাগেরহাট বাস টার্মিনালে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৃষ্টি সাথে বাড়ে বাগেরহাটের ৭৫টি ইউনিয়নে ঘরমুখ মানুষের বিড়ম্বনা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা বাস নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে পৌছেছে। পদ্মা সেতু চালুর পরে সড়কে যানজট না থাকলেও বৃষ্টিকে দায়ী করছেন চালকরা।
আনন্দের ঈদ যাত্রায় বাগড়া হয়ে এসেছে বৃষ্টি। তবুও মঙ্গলবার ভোর থেকেই ছাতা মাথায় দিয়ে হেঁটে হেঁটে, পলিথিনের পর্দা ঝুলিয়ে রিকশায় করে, বাসে চেপে কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে যাত্রীরা আসছে বাগেরহাট বাস টার্মিনালে। উদ্দেশে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা । পথে বৃষ্টির ঝাপটায় ভিজে গেছে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ-বোঁচকা, শত চেষ্টায়ও বৃষ্টির হাত থেকে শরীর বাঁচাতে পারেনি অনেকেই। বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বাস চড়ে পথের বিপত্তি ভুলে হাসিমুখেই বাড়ির পথ ধরেছে তারা।
বাগেরহাট বাস টার্মিনালে কথা হয় ঢাকা থেকে আসা দোলা পরিবহনের যাত্রী শহিদুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পরিবার নিয়ে বাস গুলিস্থান দোলা পরিবহনের কাউন্টারে আসেন। তিনি বলেন,’বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ঘর থেকে বের হওয়াটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে রিকশায় করে বাংলামোটর গিয়ে সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় করে পরিবহন কাউন্টারে এসেছি। আর ১০ মিনিট দেরি করলে হয়তো গাড়িটাই মিস করতে হতো।
বাগেরহাটে ওয়েলকাম পরিবহনের কাউন্টারের ম্যানেজার সালমান মুহাইমিন বলেন, এখন আমাদের কোন চাপ নেই। এখন শুধুই ঘরমুখ যাত্রী আসার চাপ আছে। বাগেরহাট থেকে বলতে গেলে গাড়ি খালিই যাচ্ছে।