এস এম হুমায়ুন,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
জোরপূর্বক বাগেরহাটের কচুয়ায় ৯ থেকে ১০ টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির মাঝখান থেকে মাটি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।গোপালপুর ইউনিয়নের পাইকজুরি গ্রামের কেয়ামুদ্দিন শেখের ছেলে মারুফ শেখের বিরুদ্ধে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ অনেকেই এমন অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রতন মন্ডলের পরিবারের কাছ থেকে ২৮ শতাংশ জায়গার ২৭ শতাংশ জায়গা মারুফ শেখ ২ বছর আগে ক্রয় করেন বাকি ১ শতাংশ জায়গার উপর দিয়ে স্থানীয় ৯ থেকে ১০ টি পরিবারের যাতায়াতের জন্য রেকর্ডিয় রাস্তার সাথে যুক্ত একটি যাতায়াতের পথ রয়েছে।সেখান থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে স্থানীয়রা যাতায়াত করে আসছে।সম্প্রতি ঐ মাটির রাস্তাটিতে সরকারি ইটের সলিং পাস হয়েছে।এমন অবস্থায় কাউকে না জানিয়ে মারুফ শেখ জোরপূর্বক রাস্তাটির মাটি কেটে রাস্তাটি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।স্থানীয়রা বলছে এতে বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ইট সলিং এর কাজের অগ্রগতির।এ ঘটনায় এলাকার অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একই সাথে পূর্বের জায়গায় রাস্তাটি যেন ইটের সলিং হয় এমন দাবিও জানিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিরেন্দ্রনাথ সমদ্দার বলেন,আমার জন্ম অবদি এই রাস্তাটি দেখে আসছি কিন্তু হটাৎ করে আরেকজন আমাদের এই রাস্তাটি বন্ধ করতে চায়।এটা আমাদের চলাচলের পথ এই পথ যেন ঠিক থাকে আমি এটিই চাই।
রতন মন্ডল বলেন,আমি যখন জায়গাটি বিক্রি করি তখন বলেছি আমার এই ১ শতাংশ জায়গা সকলের চলাচলের জন্য রাস্তা হিসেবে থাকবে।আমি চাই এই রাস্তা এখান থেকেই থাকবে কিন্তু হটাৎ করে মারুফ শেখ কাউকে না জানিয়ে রাস্তার মাটি উঠিয়ে ফেলেছে।আমরা এটা মানতে পারছি না।
রেবা বেগম বলেন,আমি এখানে রাস্তা দেখে বাড়ি করেছি।ধান সহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে বেরহতে আমাদের অনেক কষ্ট হয় এখন ইট সলিং এর কাজ বন্ধ হলে আমারা প্রচুর সমস্যার মধ্যে পরবো।আমি চাই যেখানের রাস্তা সেখানেই হোক।
মুন্নি বেগম বলেন,আমরা গরিব মানুষ আমাদের একটা গাড়ি আছে যা আমাদের আয়ের উৎস যেটা এখন অন্যের বাড়ি রেখে আসতে হয়।আমরা চুরি হওয়ার ভয়ে ঘুমাতেও পারিনা সুনেছি সরকারি ইট আইছে রাস্তাটি করে দিবে এমন অবস্থায় রাস্তার মাঝখান থেকে কেটে ফেলায় আমরা সমস্যায় পরেছি।আমরা চাই রাস্তাটি ঠিক হোক।
এছাড়াও আব্দুল হাকিম শেখ,রিতা রানি সমদ্দার সহ অনেকে একি অভিযোগ করেন।তাদের প্রত্যেকের দাবি পূর্বের যায়গায় যেন রাস্তাটি থাকে এবং সরকারি ইটের কাজটি হয়।
অভিযুক্ত মারুফ শেখ রাস্তাটি অন্যপাশে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাটি গুলো কেটেছেন বলে জানান।তবে এ বিষয়ে এলাকার কারো অনুমতি নেয়নি বলেও জানান।তার দাবি সে রাস্তাটি অন্যপাশ থেকে দিবেন বলে মাটিগুলো কেটেছে।তবে তিনি স্বীকার করেছেন এখানে রাস্তাটি ৩০ বছর ধরে তিনি দেখছেন। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।