শিরোনামঃ গঙ্গা স্নান
লেখকঃ তাপশ কুমার
একদিন কৈলাস পর্ব্বতে বসে মহাদেব পার্ব্বতীদেবী,
আলোচনা করিতে ছিলেন গঙ্গা স্নানের মাহাত্ম্য।
গঙ্গা স্নানে মানুষের সকল পাপ হয় ক্ষয়,
দেহ মন পবিত্র হয়,জানিবে নিশ্চয়।
পর্ব্বতীদেবী বলেলেন মহাদেব, চলেন দেখে আসি গঙ্গা স্নান,
কিভাবে পাপী তাপী হয় পূণ্যবান।
পর্বত থেকে মহাদেব পার্ব্বতীদেবী নামিয়া আসিলেন,
গঙ্গা তীরে শব ভেশধরে, মহাদেব পরিয়া থাকিলেন।
পার্ব্বতীদেবী জোরে জোরে বিলাপ করিলেন,
আমার পতির সৎকার কীভাবে করিব।
গঙ্গা স্নান সেরে পূণ্যস্নাথীরা বিলাপ শুনে,
বলে ওঠে মা জননী কান্না করো কেন।
পতিদেব আমার গঙ্গা স্নানের উদ্দেশ্য আসিয়া,
পথি মধ্যে প্রান ত্যাগ করিলেন শেষে।
এখন কীভাবে হবে আমার পতির সৎকার,
কোথায় পাবো পূণ্যবান, পাপের লেশ নাহি বিন্দু মাত্র যার।
এই কথা শুনিয়া সকলে উদাসীন হইলো,
দুঃখী হয়ে সকলে আবার রওনা হইলো।
এই কাণ্ড দেখিয়া মহাদেব পার্ব্বতীদেবী,
মহা চিন্তায় পরিয়া গেলেন,কি হবে গতি।
সকলে এতো স্নান করিতেছে,দেহ মলি মলি,
গঙ্গা স্নানে সকল পাপ মুক্ত হয়েছে,বিশ্বাস না আনি।
এমন সময় উপস্থিত হইলো,যে ছিল ডাকাতের সর্দ্দার,
পার্ব্বতীদেবী মাতা তাকেও বলিলেন সকল সমাচার।
সব শুনিয়া বলিল ডাকাত,মাগো দুঃখ নাহি করো আর,
গঙ্গা জলে পাপ ধুয়ে মাগো এসেছি তোমার দ্বার।
যতছিলো পাপ আর মনের ভিতর কালি,
গঙ্গার জলে ধুয়ে ফেলেছি মাগো,পাপের ইচ্ছা গুলো।
এই কথা বলিবা মাত্র,আলোক জ্যোতির উদয় হইলো,
মহাদেব পার্ব্বতীদেবী আশীর্বাদ দিলো।
মোঃ শফিকুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
দৈনিক সময়ের সংলাপ
মোবাইল নং- ০১৭৬৪৮০৯৬৫৯
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।